দলের হেভিওয়েট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের! উত্তাল শাসকদলের অন্দরমহল কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য August 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তর কলকাতার মুচিবাজার সংলগ্ন সাহেববাগান এলাকায় সপ্তাহ খানেক ব্যবধানের মধ্যে বিদ্যুতের বিপদজনক তার স্পর্শ করে মৃত্যু হলো দুজন স্থানীয় বাসিন্দার। সেই নিয়ে চলল এলাকার মানুষের ক্ষোভ, বিক্ষোভ, উত্তেজনা। সরকারের নিয়স্ক্রিয়তার অভিযোগে এলাকাবাসী কাঠগড়ায় তুললেন এলাকার কাউন্সিলার অমল চক্রবর্তীকে। আর কাউন্সিলার সুকৌশলে নিজের অকর্মণ্যতার দায় চাপিয়ে দিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্য সরকারের জনৈক মন্ত্রী সাধন পান্ডের উপরে। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর কলকাতার সাহেব বাগান এলাকায় পানীয় জলের একটি ট্যাঙ্কার সামনে জলের খোঁজে গিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনৈক বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়স্ক পুষ্প বর্মা। জলের খোঁজে তো তিনি গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর সামনেই যে মৃত্যুর দূত হয়ে অপেক্ষা করছিল ভাঙা বিদ্যুতের খুটি থেকে নিচে ঝুলে পড়া একটি হাইভোল্টেজ তার, অন্ধকারে সেটা হয়তো তাঁর চোখ এড়িয়েই গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত অসাবধানবসত সেই তার স্পর্শেই প্রাণ হারাতে হলো তাঁকে। তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এলো শোকের ছায়া, সেইসঙ্গে ক্ষোভে, বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় এলাকাবাসী। অভিযোগের শুরে এলাকাবাসীরা জানালেন, বেশ কিছুদিন ধরেই একটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়ে সেখান থেকে একটি বিদ্যুৎবাহী তার বিপদজনক অবস্থায় ঝুলে আছে। যেখান থেকে যেকোন সময়ে বিপদের আশঙ্কা আছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন, একাধিক বার তারা এই বিষয়ে এলাকার কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তীকে অবগত করেছেন, বারবার আবেদন করেছেন এই বিদ্যুতের খুঁটি মেরামত করার জন্যে। কারণ, যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, কাউন্সিলার এই বিষয়টিকে কোন গুরুত্বই দেননি। ফলত, কিছুদিন আগেই প্রাণ হারান এক এলাকবাসী, আর বৃহস্পতিবার এই একই কারণে পুষ্প বর্মার মৃত্যু ঘটায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। কারণ, একই এলাকায়, একই সপ্তাহ ব্যাবধানে, ও একই কারণে দুজনের মৃত্যু হয় তাহলে তো ক্ষোভ হবারই কথা। একরণে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই মুচিবাজার এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ, বিক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এলাকাজুড়ে শুরু হয় উত্তেজনার আবহ। উত্তেজিত বাসিন্দাদের একদল কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন। তারপর শুরু হয় প্রবল ভাঙচুর। শেষ পর্যন্ত জনতার রোষ ঠান্ডা করতে, নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে দেখা যায় কাউন্সিলর চক্রবর্তীকে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে তিনি এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাধন সাধন পান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ এর আঙ্গুল তুলে দেন কাউন্সিলার আমল চক্রবর্তী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “মন্ত্রীর লোকজন বিজেপির লোক সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে ভাঙচুর ও রাস্তা অবরোধ করেছে। আমার বাড়ির সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে কারা ভাঙচুর করেছে।” তবে মন্ত্রী সাধন পান্ডে কাউন্সিলারের এই অভিযোগটিকে তেমন আমল দিতে নারাজ। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি শিবির থেকে জানানো হয়েছে, ” তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের গোষ্ঠীর সঙ্গে কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তীর গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এলাকায় অশান্তি হচ্ছে।” তবে গোষ্ঠী সংঘর্ষই হোক কিংবা সরকারের গাফিলতিই হোক, এই ঘটনায় যে মুখ পুড়লো রাজ্যের শাসকদলের সেকথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আপনার মতামত জানান -