এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলের জন্যই ভরাডুবি! পরাজিত হওয়ার পরেই বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী, অস্বস্তি তুঙ্গে!

দলের জন্যই ভরাডুবি! পরাজিত হওয়ার পরেই বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী, অস্বস্তি তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য ছিল বাংলায় 200 আসন দখল করা। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো তো দূরের কথা, দুই সংখ্যার হতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। 77 টি আসন দখল করে রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে তারা। আর এরপর থেকেই বিজেপির অন্দরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, প্রার্থী চয়ন ঠিক হয়নি। আবার অনেকে অভিযোগ করেছেন, দলের অনেক নেতা প্রার্থীকে মানতে না পেরে তাদের বিরুদ্ধে ভোট করিয়েছেন। যার ফলে অনেক আসনে পরাজিত হয়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বের অনেকের দিকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নীচুতলার নেতা-কর্মীরা‌। অনেকে আবার সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর গলায় শোনা গেল বিস্ফোরক অভিযোগ। যেখানে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। পাশাপাশি তাকে হারানোর জন্য পরিকল্পনার কথা বলে রীতিমত ভারতীয় জনতা পার্টির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন সৌজিৎ সিংহ।

বস্তুত, এবার জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে এই সৌজিৎ সিংহকে পার্থী করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়ে যেতে হয় তাকে। পাশাপাশি রাজ্যেও বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হয়নি। এমনিতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির ব্যাপক আসনে পরাজয় নিয়ে দলের নানা নেতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির পরাজিত প্রার্থীর পক্ষ থেকে দলের বিরুদ্ধে তোলা হল বিস্ফোরক অভিযোগ। কিন্তু ঠিক কি অভিযোগ করেছেন সৌজিৎ সিংহ?

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপি নেতৃত্ব রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের কাছে দলকে বিক্রি করে দিয়েছিল। বিজেপি নেতৃত্ব পরিকল্পনা করে আমাকে হারিয়েছে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের কাছে দলকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই দলের জন্য কে লড়াই করবে? 2024 এ আত্মত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে। কাউন্টিং হলে নেক্সাস হয়েছে। এদের চিনি। রাজ্য কেন্দ্রকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে। যে কর্মীরা নিষ্ঠার সঙ্গে দলের জন্য কাজ করেছে, তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিল। সদর বিধানসভাকে হারিয়ে দিল শুধুমাত্র অন্তর্ঘাতের কারণে। বেনোজলদের বের না করলে আগামী লোকসভা ভোটে দল কেন করব! আমরা পার্টি অফিস যাচ্ছি না এবং কোনো রকম কাজকর্মে থাকছি না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে লড়াই করা সৌজিৎবাবুর মুখ থেকে এই ধরনের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেভাবে পরাজিত বিজেপির প্রার্থী তার পরাজয়ের পেছনে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুললেন এবং দলের নেতৃত্বে একাংশের বিরুদ্ধে কার্যত বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি যে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

একাংশ বলছেন, এর ফলে ভারতীয় জনতা পার্টি উত্তরবঙ্গের যথেষ্ট ব্যাকফুটে পড়ে গেল। বিজেপি নিজেদের সব সময় সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলাপরায়ন বলে দাবি করে। এক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত এই অভিযোগ তোলা হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই অভিযোগ যে ঢোপে টেকেনি, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের মধ্যে দিয়েই তা পরিষ্কার। তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে বিজেপি অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত হওয়ার কারণে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যে বেশ কিছুদিন আসন খুইয়েছে, তা পরাজিত হওয়ার পরেই জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেল। স্বাভাবিক ভাবেই পরাজিত বিজেপি প্রার্থী দলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা নিয়েও এখন জল্পনা তৈরি হয়েছে‌।

তাহলে কি তিনি খুব তাড়াতাড়ি শিবির বদল করতে পারেন, এখন এই গুঞ্জন তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে। সব মিলিয়ে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর পক্ষ থেকে দলের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত করার অভিযোগ তোলায় বিজেপি নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!