এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলের কাজে হেভিওয়েট নেতাকে চান না তৃণমূল নেত্রী, বাড়ছে জল্পনা!

দলের কাজে হেভিওয়েট নেতাকে চান না তৃণমূল নেত্রী, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নদীয়া জেলার শান্তিপুরে একসময় অজয় দে বনাম অরিন্দম ভট্টাচার্যের গন্ডগোল তৃণমূলের অসন্তোষ প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে সম্প্রতি অরিন্দম ভট্টাচার্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে এখনও পর্যন্ত অজয় দে তৃনমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নাম না করে সেই অজয়বাবু ছেড়ে চলে গেলে বরঞ্চ তাদের ভালোই হবে বলে মন্তব্য করলেন নদীয়া জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে এক হেভিওয়েট নেতা সম্পর্কে দলের জেলা সভানেত্রী এই ধরনের মন্তব্য করায় এখন রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নদিয়া গয়েশপুরের এক কর্মীসভায় দলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে সরব হন মহুয়া মৈত্র। যেখানে নাম না করে অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং অজয় দে কে কটাক্ষ করেন তিনি।

বক্তব্য রাখতে উঠে মহুয়া মৈত্র বলেন, “শান্তিপুর আসনটা এরা ঝগড়া করে নষ্ট করে দিয়েছে। একজন গিয়েছে। অন্যজন গেলে আমি বাঁচি। তৃতীয় ব্যক্তিকে তুলে আনব। যে শান্তিপুর পৌরসভার 25 বছরের চেয়ারম্যানকে তিনদিনের ছেলে এসে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের টিকিটের তিন সপ্তাহ ভোট করে হারিয়ে দিল, তার কি এমন দাম! যে কেউ যদি চলে যেতে চায়, তাহলে দরজা খোলা আছে।” অর্থাৎ মহুয়াদেবী এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, শান্তিপুরে কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং বর্তমানে তৃণমূলের থাকা অজয় দের দ্বন্দ্বে দল বিরক্ত।

তাই অরিন্দম ভট্টাচার্য বিজেপিতে গেলে দল যেমন স্বস্তি বোধ করছে, ঠিক তেমনই আরেক নেতা অজয় দে যদি চলে যায়, তাহলে দলের কোনো অসুবিধা হবে না বলেই বুঝিয়ে দিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এখানেই প্রশ্ন, জেলা সভানেত্রী হয়ে কোনো একজন হেভিওয়েট নেতাকে কি এভাবে দল ছাড়ার কথা বলতে পারেন মহুয়াদেবী? দল তো সকলের জন্য! এক্ষেত্রে কোনো একজন নেতাকে উদ্দেশ্য করে তার এই ধরনের মন্তব্য কি শাসকদলের অন্দরমহলে বিদ্রোহকে আরও বাড়িয়ে দেবে না, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু জেলা সভানেত্রী যখন এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তখন কি বলছেন সেই অজয় দে? এদিন তিনি বলেন, “যিনি এই কথাগুলো বলছেন, তার অনেক আগে থেকেই রাজনীতি করছি। এভাবে কর্মীদের ঠেলে অন্য দললে পাঠিয়ে দিয়ে উনি কি ভালো করবেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না। দলের ক্ষতি করে আসলে উনি বিরোধীদের ক্ষতি করছেন না তো!” স্বাভাবিক ভাবেই জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র এই ধরনের মন্তব্য করে জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে যে আরও বাড়িয়ে দিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলে এখন ভাঙ্গন পর্ব চলছে। একের পর এক হেভিওয়েট নেতা যোগ দিতে শুরু করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। সেদিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা থেকে শুরু করে রাজ্য স্তরের নেতাদের উচিত সেই ভাঙ্গনকে আটকানো। কিন্তু সেই ভাঙ্গন আটকানো অপেক্ষা অরিন্দম ভট্টাচার্য বিজেপিতে যাওয়ার পর যেভাবে আরেক নেতাও চলে গেলে তাদের কোনো অসুবিধে নেই বলে দাবি করলেন মহুয়া মৈত্র, তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মহুয়া মৈত্রের এই মন্তব্যে জেলায় তৃণমূলের ভাঙ্গন আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!