এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘দলের কর্মীদের একাংশ পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাত্ করছেন।” এবার বিরোধীদের অভিযোগকে সিলমোহর অনুব্রতর

‘দলের কর্মীদের একাংশ পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাত্ করছেন।” এবার বিরোধীদের অভিযোগকে সিলমোহর অনুব্রতর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আর কিছুদিন পরেই রাজ্যজুড়ে হতে চলেছে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই রাজ্যজুড়ে বর্তমানে চলছে দুর্নীতি নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর। করোনা আবহের সময় থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে তীব্র অভিযোগ জানিয়েছে গেরুয়া শিবির সহ অন্যান্য বিরোধীরা। পরবর্তীতে আমফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে অভিযোগ ওঠে শাসকদলের স্বজনপোষণের। সেই নিয়েও তীব্র আন্দোলন শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। রাজ্যের বিরোধীদের সাথে সাথে সাধারণ জনগণও শাসকদলের বিরুদ্ধে মুখ খোলে।

আর তারপরেই পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং রাজ্য জুড়ে শুরু হয় শাসকদলের শুদ্ধিকরণ নীতি। অন্যদিকে ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন দলের নিম্নস্তরের দুর্নীতির কাজ। যদিও তিনি এ ব্যাপারে দুর্নীতির দায়ভার বর্তিয়েছেন বাম শিবিরের ঘাড়ে বলে জানা গেছে।

তবে এবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতারাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। সম্প্রতি বীরভূম জেলার বোলপুরে জেলা পার্টি অফিসে ব্লক কমিটির একটি বৈঠক ছিল এবং সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর সেখানেই তিনি দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন বলে জানা গেছে। উপরন্তু তিনি অভিযোগ করেন, দলের একাংশ পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করছে।

আর এই নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে জেগেছে তুমুল শোরগোল। অনুব্রত মণ্ডলের কথাকে বিরোধীরা উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা দাবি জানাচ্ছে, পুরোটাই লোক দেখানো। অন্যদিকে জানা গেছে, ব্লক কমিটির এই বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এদিন কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ সহ অন্যান্যরা। বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল তীব্র ক্ষোভ সহযোগে আরো বলেন, ‘দলের কর্মীদের একাংশ পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাত্‍ করছেন। প্রত্যেক পঞ্চায়েতে যারা বসে আছেন তারা টাকা কামাচ্ছেন। কিন্তু দলের অনুষ্ঠান ঠিক মতো করছেন না। এটা চলতে পারে না।’ তবে এদিন বৈঠকে সরাসরি দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে কথা জানান অনুব্রত মণ্ডল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূল নেতারা যতই দুর্নীতি চলছে বলে শুদ্ধিকরণে জোর দিক, বিরোধীরা কিন্তু এত সহজে শাসক শিবিরের কথা মেনে নিতে রাজি নয়। বরং শাসক দল তৃণমূলের ওপর থেকে নীচু পর্যন্ত প্রত্যেকেই যে দুর্নীতিগ্রস্ত সেকথা জোর দিয়ে জানাচ্ছেন তাঁরা। যেমন- সম্প্রতি সিপিএম নেতা রামচন্দ্র ডোম ও বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু একইভাবে জানিয়েছেন, তৃণমূলের প্রত্যেকেই সমানভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রী প্রত্যেকেই টাকা ভাগ করে নেন।

অন্যদিকে এদিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি মুখ খুলেছেন বিকাশ দুবের এনকাউন্টার প্রসঙ্গেও। তাঁর কথায় বিকাশ দুবের এনকাউন্টার না হলে অনেক বিজেপি নেতারা বিপাকে পড়তেন। এ কথায় যে অনুব্রত মন্ডল সরাসরি বিজেপিকে খোঁচা দিলেন তা এককথায় মেনে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহলের সবাই। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, অনুব্রত মণ্ডল এদিন যেভাবে দলীয় কর্মীদের দুর্নীতি নিয়ে প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিলেন, তাতে এতদিন ধরে করা বিরোধীদের দুর্নীতির অভিযোগই মান্যতা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার জনগণের মন জেতার জন্য এই মুহূর্তে শাসক দলের কাছে শুদ্ধিকরণে জোর দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা নেই। তবে দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ যে এত সহজে ধামাচাপা পড়বেনা সে কথাও সহজেই অনুমেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত শাসকদলের শুদ্ধিকরণের জোর আগামী দিনের নির্বাচনে ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হয় কিনা, সেদিকেই এখন কড়া নজর রাখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!