প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য জয় পাওয়ার পরই, দেশের একাধিক রাজ্যের দিকে হাত বাড়িয়েছে তৃণমূল। যার মধ্যে অন্যতম হলো ত্রিপুরা। ত্রিপুরাতে তৃণমূলের আনাগোনা বাড়তেই সেখানে বারবার তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপর মারধর, গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কয়েক মাস আগে তৃণমূলের একাধিক যুবনেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এবার আবার তৃণমূল নেতাকর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তাই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।

ত্রিপুরার বারবার তৃণমূল কর্মীদের উপর মারধর ও ভাংচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপি তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গতকাল ত্রিপুরায় অমরপুর এলাকার নতুন বাজার যাবার পথে পুলিশ পথ আটকে দেয় তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ ও সুবল ভৌমিকের। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর ২ কিলোমিটার আগেই পুলিশ তাদের পথ আটকে দেয়। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে, এই অজুহাত দিয়ে তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তৃণমূলের।

আবার কিছুদিন আগে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব দলের কর্মসূচিতে যাবার পথে আক্রান্ত হন। তিনি ও তার সঙ্গে থাকা কর্মীদের ওপরে হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযোগ ওঠে, প্রচার গাড়ি ভাঙচুরের। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বর মাসে সেখানে পুরভোট রয়েছে, পুরভোটের প্রচারে বেরিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। তবে দলের প্রচার গাড়ি ত্রিপুরার আমতলী বাজারের কাছে পৌঁছাতেই গাড়ির ওপর হামলা হয়।

এভাবে ত্রিপুরায় বারবার হামলা করা হয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের , এমনই অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, হামলা চালানোর পর আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেও বাধা দিয়েছে বিজেপি। এবার এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামতে চলেছে তৃণমূল। জানা যাচ্ছে আগামী ৩১ সে অক্টোবর ত্রিপুরাতে সভা করতে যাবেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দলের নেতাকর্মীদের ওপর বারবার হামলার অভিযোগে এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল।

যদিও, বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের এই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করা হয়েছে, তবে তৃণমূল রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলে বিজেপির পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়? সেই প্রশ্ন এখন সকলের মুখে? আর এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ যদি তৃণমূল গ্রহণ করে, তবে ত্রিপুরাতে বড়োসড়ো বিপাকে পড়তে পারে বিজেপি, এমনটাও মনে করছেন অনেকে। এদিকে আগামী ৩১ সে অক্টোবর ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে ঘিরে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়? সেদিকেও লক্ষ্য থাকবে সকলের।