এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলের প্রতি আস্থা রাখলেও, হেভিওয়েট সাংসদের বিরুদ্ধে কি বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন মমতা? দলীয় স্তরে বাড়ছে গুঞ্জন!

দলের প্রতি আস্থা রাখলেও, হেভিওয়েট সাংসদের বিরুদ্ধে কি বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন মমতা? দলীয় স্তরে বাড়ছে গুঞ্জন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তার পরিবারের সকল সদস্যই বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লিখিয়েছেন। কিন্তু একমাত্র তিনিই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাননি। বিজেপিতে নাম না লেখালেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে তার বেশ কিছু মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এমনকি তৃণমূলের একাংশ ধরে নিয়েছিলেন, দিব্যেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে বা অধিকারী পরিবারের একাংশ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির যেমন ফল হবে বলে আশা করেছিলেন, তেমন ফলাফল হয়নি গেরুয়া শিবিরের।

রাজ্যে 77 টি আসন পেয়ে কোনোরকমে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারির কাছ থেকে। তবে তাকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে তাকে নিয়ে জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করেছিল। তিনি তৃণমূলে আছেন, নাকি বিজেপিতে আছেন, এই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্যজুড়ে।

তবে সম্প্রতি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেন দিব্যেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দেন, তিনি এখনও দলবদল করেননি। এখনও পর্যন্ত তিনি তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন। তবে নিজের বর্তমান দলের উদ্দেশ্যে কিছুটা সতর্কবার্তাও দিতে দেখা যায় এই তৃণমূল সাংসদকে। যেখানে তার পরিবারের সদস্যদের আক্রমণ করলে তিনি যে কোনোমতেই মেনে নেবেন না, তাও বুঝিয়ে দেন দিব্যেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যরা বিজেপিতে যাওয়ার পরে তাদের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করতে শুরু করেছিল ঘাসফুল শিবির।

শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে শিশির অধিকারীকে লাগাতারভাবে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পর সেই কটাক্ষ যে আরও বাড়তে শুরু করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই পরিস্থিতিতে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি তার পরিবারকে আক্রমণ করলে তিনি যে তা মেনে নেবেন না, তা নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ। আর এই পরিস্থিতিতে দিব্যেন্দু অধিকারী দলের প্রতি আস্থা রাখলেও, তার প্রতি কতটা আস্থা রাখবে তৃণমূল নেতৃত্ব বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজ্যজুড়ে।

বলা বাহুল্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে তার পরিবারে তৃণমূলে থাকা সদস্যদের আক্রমণ করতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে। আর এরপরই তৃণমূল জোর করে তাকে বিজেপিতে ছেলে পাঠাল বলে পদ্ম শিবিরে যোগদান করেন অধিকারী পরিবারের বড় কর্তা শিশির অধিকারী। যার ফলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও আক্রমণ ধেয়ে আসতে শুরু করে অধিকারী পরিবারের দিকে।

তবে এত সব কিছু সত্ত্বেও নিজের দাদা এবং বাবার পক্ষ অবলম্বন করে নানা কথা বলে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেও তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেননি তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনের পর তিনি কী করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে দলের প্রতি আস্থা রাখার কথা শোনা যায় দিব্যেন্দু অধিকারীর গলায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তৃণমূল দিব্যেন্দু অধিকারীকে কতটা মান্যতা দেবে, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, ইতিমধ্যেই গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সাংসদ থাকা সত্ত্বেও দিব্যেন্দু অধিকারী কোনো কাজ করেননি বলে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। স্বাভাবিক ভাবেই এই সাংসদের ব্যাপারে ঘাসফুল শিবির বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আগামী 5 তারিখে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। আর সেই বৈঠকে অধিকারী পরিবারের সদস্য তথা দলের জনপ্রতিনিধি দিব্যেন্দু অধিকারীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে সরাসরি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা দল এবং নেত্রী দুজনেই জানেন যে, একই পরিবারের ছাতার তলায় থেকে দিব্যেন্দু অধিকারী মাঝেমধ্যেই তৃণমূলের বিরোধীতা করতে শুরু করবেন।

যা বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। তাই দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন বলে বার্তা দিতে চাইলেও, তা খুব একটা ভাল চোখে নেবে না শাসকদল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে তমলুকের তৃণমূল সাংসদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!