এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলের শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন, মিহিরের পর এবার বিস্ফোরক আর এক তৃণমূল বিধায়ক

দলের শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন, মিহিরের পর এবার বিস্ফোরক আর এক তৃণমূল বিধায়ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস এখন সংগঠনকে শক্তিশালী করতে শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা হতে না হতেই যেভাবে তৃণমূলের একাধিক নেতা বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছে, তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। ইতিমধ্যেই কোচবিহার দক্ষিনের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

পাশাপাশি দলের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাকে। আর এবার দলের শুদ্ধিকরণের ব্যাপারে জোর দিয়ে রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। স্বভাবতই একের পর এক বিধায়ক বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের গঠনতন্ত্র শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু মিহির গোস্বামীর পর কি এমন বললেন উত্তরপাড়া তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল?

সূত্রের খবর, এদিন প্রবীর ঘোষাল বলেন, “আত্ম সমালোচনা বলা ভালো। কয়েক মাস আগে হুগলি জেলার বিধায়কের সবাই আমরা বসে আলোচনা করেছিলাম যে, কিভাবে জেলায় দলকে শক্তিশালী করা যায়। সেই বৈঠকের পরে রাজ্য নেতৃত্ব দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী এই বিষয়ে লক্ষ্য ঠিক করে দেয় যাতে দল শক্তিশালী হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দল আরও খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। আরও খারাপ ব্যাপার বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে শক্তিশালী করতে চাইছেন‌। অথচ নিচতলায় বেশকিছু মুখ চড়ে বেড়াচ্ছে। এই মুখগুলোকে সরিয়ে যদি বিধানসভা নির্বাচনে ভালো মুখ তুলে না আনা হয়, তাহলে দলের কাছে খুব কঠিন লড়াই। দলের শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বভাবতই একজন হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে যেভাবে দলের শুদ্ধিকরণের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রবীর ঘোষাল, তাতে নিঃসন্দেহে তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। একাংশ বলছেন, বর্তমানে তৃণমূলের সমস্ত দায়িত্ব এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের কথামত। বিভিন্ন জেলায় সংগঠনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কিন্তু দল যখন বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে নিজেদের গুটি সাজাতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই একের পর এক বিধায়কের এইভাবে দলের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। অনেকে বলছেন, তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায় বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনি বিজেপিতে গেলেও এতদিন গুরুদায়িত্ব না পাওয়ার কারণে তৃণমূলের অনেকে বিজেপিতে আসতে সাহস দেখাচ্ছিলেন না।

কিন্তু মুকুলবাবু সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে গুরু দায়িত্ব পাওয়ার পর তার হাত ধরে অনেক তৃণমূল বিধায়ক এবং জনপ্রতিনিধি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করবেন বলে মনে করা হচ্ছে‌। আর এই পরিস্থিতিতে মিহির গোস্বামীর পর যেভাবে আর এক তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল শুদ্ধিকরণের পক্ষে সওয়াল করলেন, তাতে তাদের বিজেপি যোগের জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক তৃণমূল বিধায়কের হঠাৎ করেই দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য যে অতি সহজেই হচ্ছে না সেই বিষয়টিও নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা তবে দলের শুদ্ধিকরণের পক্ষে সওয়াল করা প্রবীর ঘোষাল এবং সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হওয়া মিহির গোস্বামীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!