এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বহাল তবিয়তে স্বপদে প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী!

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বহাল তবিয়তে স্বপদে প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতে গত বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে তৃণমূল দলের নেতৃত্বে পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান মানসুরা বেগমকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দলের নির্দেশ অমান্য করেই গতকাল শুক্রবার মনসুরা বেগম বিডিও অফিসে নিজের ইস্তফা জমা দেননি। পরিবর্তে দলের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ডাকযোগে ও ইমেল মারফত তৃণমূল দলের রাজ্য সভাপতি, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিধায়কের কাছে পত্র দিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতেই মানসুরা বেগমের স্বামী শেখ সাহাবুদ্দিন যিনি সংশ্লিষ্ট স্থানের বিশেষ প্রভাবশালী নেতা, স্ত্রীর ইস্তফার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি তাঁর সমর্থক বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। আর এই বৈঠকের পরেই তিনি জানালেন যে, পঞ্চায়েত প্রধান যদি ইস্তফা দেন, তবে একসঙ্গে বহু পঞ্চায়েত সদস্যও ইস্তফা দানের জন্য প্রস্তুত আছে।

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিচালনার মূল ক্ষমতা শেখ সাহাবুদ্দিনের গোষ্ঠীর হাতে থাকবে নাকি বিরোধী সানোয়ার আলি শার গোষ্ঠীর হাতে যাবে তা নিয়ে তৃণমূল দলের মধ্যে বিরাট প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সানোয়ার আলি শা এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। ১৫ টি আসনের এই পঞ্চায়েতের ১২ জন সদস্যই
শেখ সাহাবুদ্দিনের পক্ষে থাকলেও ব্লক নেতৃত্ব সানোয়ার আলি শার পক্ষে আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের মাধ্যমে সানোয়ার আলি শাকে রাজনীতিতে এনেছিলেন সাহাবুদ্দিনই। এরপর ব্লক নেতৃত্বের অবদানে তাঁর উপপ্রধান পদ প্রাপ্তি। কিন্তু এরপর থেকে তিনিই সাহাবুদ্দিনের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠেন। একাধিক বার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ বাধে। এরপর সাহাবুদ্দিন ও মানসুরা বেগমের নামে অম্ফানের ক্ষতিপূরণের টাকা তছরুপের অভিযোগ আসায় ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব এদের অপসারণের নির্দেশ দেয়।

অন্যদিকে, কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এর পদটি ওবিসি মহিলা সংরক্ষিত আসন। এই আসনে মানসুরা বেগমকে সরিয়ে দিয়ে অন্য কোন ওবিসি মহিলাকে আসীন করে সাহাবুদ্দিন চাপে রাখতে চেষ্টা করছেন সানোয়ার আলি শা। তবে সাহাবুদ্দিন কিছুতেই এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা ছেড়ে দিতে রাজি নন। এ বিষয়ে তিনি এই অঞ্চলের ব্লক ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পালকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উর্ধতন নেতৃত্বকে চিঠি লিখেছেন। অধিকাংশ সমর্থন তাঁর দিকে থাকায় এরকম সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

এই পঞ্চায়েতের দুই পক্ষের এই দড়ি টানাটানি প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল জানিয়েছেন, ” এর আগেও আমরা নন্দীগ্রামের একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান বদল করেছি। তখন ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করার ঘটনা ঘটেনি। এখন এসব ঘটছে। শুক্রবারের মধ্যে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। সেটা মানা হয়নি। আমরা শীঘ্রই কোর কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।” অন্যদিকে এ সম্পর্কে গতকাল তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেছেন, ” কেন্দামারি-জালপাই পঞ্চায়েত নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্ব যা নির্দেশ দিয়েছে, সেটাই পার্টির অবস্থান।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!