এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দলের সহ-সভাপতি মুকুল দিল্লিতে পৌঁছাতেই স্পেশাল ট্রিটমেন্ট, রক্তচাপ বাড়ছে বিরোধীদের !

দলের সহ-সভাপতি মুকুল দিল্লিতে পৌঁছাতেই স্পেশাল ট্রিটমেন্ট, রক্তচাপ বাড়ছে বিরোধীদের !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় তিন বছর বিজেপিতে থাকার পর অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছেন তিনি। গত শনিবার সর্বভারতীয় স্তরে রদবদলে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলার মুকুল রায়। যার ফলে মুকুলবাবু এবং তার অনুগামীরা এখন যথেষ্ট উজ্জীবিত। তবে সর্বভারতীয় স্তরে তিনি সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেলেও তার কাজ কি হবে, তা এখনও অজানা। সেদিক থেকে বাংলায় তিনি বাড়তি মনোযোগ দেবেন, নাকি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাকে কাজে লাগানো হবে, তা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর মুকুলবাবুকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা।

আর এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ দিল্লি পৌঁছন তিনি। আর দিল্লি পৌছতেই বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে পৌঁছে যান বিজেপির দুই সাংসদ মনোজ তিওয়ারি এবং রবি কিষান। যা দেখে কিছুটা হলেও অবাক হয়ে যান মুকুল রায়। একাংশ বলছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া তৃনমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড থাকলেও, এত সম্মান কখনই পাননি। ফলে বিজেপির মত সর্বভারতীয় দলে দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে দিল্লি পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই তাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হল, তাতে যে তিনি অনেকটাই উজ্জীবিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মুকুল রায় সহ বাংলার একাধিক বিজেপি নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যেখানে বাংলা নিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক বলে খবর। আর তার কারণেই এদিন মুকুলবাবুর এই দিল্লি সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখতে না রাখতেই যেভাবে তিনি ব্যাপক শুভেচ্ছার সাক্ষী থাকলেন, তাতে মুকুলবাবুকে যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, বাংলাকে নিয়ে বিজেপির এই কেন্দ্রীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন সহ অন্যান্য নেতারা। অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি এবার দিল্লিতে বৈঠক ডেকে মুকুলবাবুকে কোনো বাড়তি দায়িত্ব দেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হলেও, এখন তিনি কি দায়িত্ব পাবেন, তা কারোরই অজানা। স্বাভাবিক ভাবেই কালকের বৈঠকে এই ব্যাপারে মুকুলবাবুর কাঁধে গুরুদায়িত্ব সঁপে দিতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে মত একাংশের।

কালকের বৈঠকে কি আলোচনা হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, “দলীয় সভাপতি কাল ডেকেছেন এটুকু জানি। বাকি কি হবে, তা এখনই বলা সম্ভব না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজী আমার উপরে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। আর আজ দিল্লিতে যে মর্যাদা আমাকে দেওয়া হল, তা চিরদিন মনে থাকবে। আমি সত্যিই অভিভূত।” সব মিলিয়ে আগামীকাল বাংলার নেতাদের নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। পাশাপাশি মুকুল রায়ের কালকের বৈঠকে উপস্থিতি ভবিষ্যতের জন্য কোনো বার্তা নিয়ে আসে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!