এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে বিজেপি সভাপতির? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নিয়ে জল্পনা!

দলের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে বিজেপি সভাপতির? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নিয়ে জল্পনা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ব্যাপক ভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকেই দলের অন্দরে নানা নেতার সঙ্গে নানা নেতার মতানৈক্য প্রকাশ্যে এসেছিল। এক্ষেত্রে অনেকেই দলবদল করে যোগ দিতে শুরু করেছিলেন ঘাসফুল শিবিরে। আরও একাধিক নেতা খুব তাড়াতাড়ি দলবদল করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জেলা বিজেপির সভাপতির অনুপস্থিতিকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল। যার জেরে একাংশ বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতির সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে? সেই কারণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকলেন না?

সূত্রের খবর, শনিবার গাইঘাটা 1 নম্বর মন্ডল বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঠাকুরনগর স্টেশনের পাশে বড় করে মঞ্চ তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে বিজেপির অনেক নেতা, নেত্রী এবং কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মনস্পতি দেবকে। আর তারপরই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে বলে দাবি একাংশের। ইতিমধ্যেই এই অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জেলা সভাপতি কিছুই জানেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়। স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যের পর দলের একাংশের সঙ্গে একাংশের দূরত্ব যে ক্রমশ বাড়ছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে গাইঘাটা পূর্ব ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সরকার বলেন, “বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে জেলা সভাপতির নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। ওদের সাংগঠনিক বিপর্যয় আগামী দিনে অবশ্যম্ভাবী।” কিন্তু যেভাবে তার অনুষ্ঠানে স্বয়ং জেলা সভাপতি অনুপস্থিত, তাতে কি বাইরে ভুল বার্তা গেল না!

এদিন এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভয়াবহ আকার ধারণ করতে শুরু করে। মাঝে রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাতে বন্ধ করা হয়, তার জন্য কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার যে কোনো রকম উন্নতি হয়নি, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!