এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলেরই বিপরীত পথে হেঁটে এবার বিশ্বভারতী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য হেভিওয়েট বিজেপি নেতার!

দলেরই বিপরীত পথে হেঁটে এবার বিশ্বভারতী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য হেভিওয়েট বিজেপি নেতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বভারতীর প্রাচীর ভাঙ্গা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রসঙ্গত শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে শুরু হয় মারাত্মক অশান্তি। অন্যদিকে এই অশান্তির কারণ হিসেবে রাজ্যের বিরোধী শিবির বিজেপি এবং বিশ্বভারতীর উপাধ্যক্ষ একযোগে অভিযোগের আঙুল তোলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দিকে। অন্যদিকে আশ্রমিকদের একাংশ এবং এলাকাবাসীরা একইভাবে পাল্টা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দিকে।

এই টানাপোড়েনের মধ্যেই বিশ্বভারতীতে আসেন বিজেপির যুব নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এবং তিনি দাবি করেন, বিশ্বভারতীতে পৌষ মেলার মাঠে বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজকর্ম এবং দেহ ব্যবসা চলে। অগ্নিমিত্রা পলের এই কথা প্রসঙ্গ ঘিরে শুরু হয় আরেক দফা বিতর্ক। বাংলার নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক সমাজ উভয় দিক থেকেই অগ্নিমিত্রা পলের এই অভিযোগের তীব্র নিন্দা করা হয়। এবার সেই একই সুর শোনা গেল বিজেপির অন্যতম নেতা অনুপম হাজরার গলায়।

রবিবার বোলপুরে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে বিশ্বভারতী নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, মেলার মাঠের দেহ ব্যবসা সংক্রান্ত কোনো রকম অভিযোগ তিনি কোনদিন পাননি। সুতরাং সেই কথার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। এবং এরপরই মনে করা হচ্ছে দলের আরেক নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিশ্বভারতী নিয়ে সবাই দল বেঁধে লড়ছে। কিন্তু এরকম একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে ভুলভাল মন্তব্য করা মোটেই উচিত নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত অনুপম হাজরাও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র ছিলেন। আর সেই কথার উল্লেখ করে অনুপম হাজরা জানিয়েছেন, মেলার মাঠে অসামাজিক এবং দেহব্যবসাজনিত অভিযোগ সংক্রান্ত মন্তব্য যারা করেছেন, সেই মন্তব্যের দায়ভারও তাঁদের। অনুপম হাজরা বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। শাসক শিবির তাঁদের সংস্কৃতির অঙ্গ হিসাবে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে অশান্তির আগুন লাগিয়েছে।

তবে শাসক-বিরোধী ক্ষোভ, প্রতি ক্ষোভ চললেও বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্বভারতী নিয়ে অনুপম হাজরার মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বলাই যায়, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বিশ্বভারতী নিয়ে দু’রকম মতামত শোনা যাচ্ছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বিশ্বভারতী সংক্রান্ত মামলায় দ্বিধাবিভক্ত দল। তবে বর্তমানে বিশ্বভারতীর অশান্তি থামানোর জন্য হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় হাইকোর্টের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। যারা বিশ্বভারতীর সমস্ত ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!