এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলীয় কর্মীর মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে বড়সড় হুঁশিয়ারি বিজেপির! জেনে নিন!

দলীয় কর্মীর মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে বড়সড় হুঁশিয়ারি বিজেপির! জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলনকে ভয়াবহ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কোচবিহার থেকে উত্তর দিনাজপুর, মেদিনীপুর থেকে বনগাঁ, কোথাও বিজেপি কর্মীদের ওপর কোনোরূপ আক্রমণ হলেই ময়দানে নেমে শোরগোল তুলে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। একের পর এক কর্মীদের এভাবে মৃত্যুর ঘটনায় একদিকে যেমন আইন শৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছেন তারা, ঠিক তেমনই সঠিক তদন্তের দাবিতে পুলিশের ওপর চাপ বাড়াতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতাদের।

আর এহেন পরিস্থিতিতে এবার দলীয় কর্মী অনুপ রায়ের মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে শুক্রবার রায়গঞ্জ থানার সামনে বড়সড় বিক্ষোভ অবস্থান করল ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তবে শুধু অবস্থান-বিক্ষোভই নয়, এদিন রায়গঞ্জ থানার সামনে রীতিমতো তুলকালাম কাণ্ড শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের ভেতরে ঢোকার উদ্যোগের সময়। রীতিমতো ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন আন্দোলনরত বিজেপি কর্মীরা। পরবর্তীতে পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।

কিন্তু এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে রীতিমত পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। যেখানে পুলিশ প্রশাসনকে ভবিষ্যতে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। এদিন সায়ন্তন বসু বলেন, “বিনা অভিযোগে আমাদের কর্মী অনুপ রায়কে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে পুলিশ। এর পেছনে যেসব পুলিশ কর্মী আছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় সাতদিন পর থেকে জেলা জুড়ে ব্যাপক আন্দোলনে নামবে বিজেপি।” আর সায়ন্তনবাবুর এই মন্তব্যে এখন নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যেভাবে ভবিষ্যতে পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি, তাতে নানা মহলে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, ক্ষমতায় আসার আগেই যদি বিজেপি নেতাদের এইরকম বাক্যবাণ শুনতে হয়, তাহলে ক্ষমতায় আসার পর তারা যে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। যদিও বা গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে, যদি একের পর এক কর্মীদের মৃত্যুর পরেও বিজেপি চুপ থাকে, তাহলে সেই সমস্ত কর্মী এবং তাদের পরিবারের প্রতি অসম্মান করা হবে। তাই সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এখন সোচ্চার হওয়া অত্যন্ত জরুরী।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের খুব একটা দেরি নেই। আর তার আগে যেভাবে একের পর এক কর্মী মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, তাতে শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়বে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অনুপ রায়ের মৃত্যুর পর বিজেপি এই আন্দোলনকে কোথায় নিয়ে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!