এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত মুকুল, দিলীপের মন্তব্যে বাড়ল জল্পনা!

দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত মুকুল, দিলীপের মন্তব্যে বাড়ল জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বিজেপিতে সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছিল না মুকুল রায়কে। তৃণমূল ছেড়ে প্রথম বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর লোকসভা নির্বাচনে তাকে অনেকটাই দায়িত্ব দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর দায়িত্ব পেয়ে দলকে পশ্চিমবঙ্গে সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন মুকুল রায়। পরবর্তীতে তাকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির মত জায়গা দেওয়া হয়েছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করতে তাকে কাজে লাগাতে গেরুয়া শিবির বলে মনে করা হয়েছিল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুকুল রায়ের মত অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে সারা রাজ্যের প্রচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি একাংশের। সেদিক থেকে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছেন মুকুল রায়। কিন্তু বিধায়ক হিসেবে তিনি নির্বাচিত হলেও সেভাবে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বা কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না তাকে। এমনকি বেশ কিছুদিন ধরেই পরিবার নিয়ে তার ব্যস্ত হয়ে পড়া এবং তার সহধর্মিণীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তার বেশ কিছু মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়ে যায়।

এমনকি মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের মন্তব্য রীতিমত চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় রাজ্যজুড়ে। অনেকে বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে মুকুল রায় ধীরে ধীরে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে জল্পনা বাড়িয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হওয়া সত্ত্বেও মঙ্গলবার রাজ্য স্তরের বৈঠক হলেও সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল সেই মুকুল রায়কে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। তাহলে কি সত্যিই মুকুল রায় বড় কোনো ভাবনায় রয়েছেন? আর সেই কারণে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বাদ দিলেন তিনি?

সূত্রের খবর, আজ নির্বাচনের পর প্রথম রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেদিক থেকে মুকুল রায় কেন্দ্রীয় নেতা হলেও, তিনি তো রাজ্য বিজেপির অন্যতম জনপ্রতিনিধি। কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে সদ্য জয়লাভ করেছেন তিনি। সেদিক থেকে কেন আমন্ত্রিত হয়েও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না তিনি? একাংশ বলছেন, সহধর্মিনীর অসুস্থতা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত রয়েছেন মুকুল রায়। আর সেই কারণেই তিনি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে এই ব্যাপারে অন্য কথা বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন তিনি বলেন, “মুকুল রায় অসুস্থ। করোনা মুক্ত হয়েছেন। তার পরিবারের কাছের মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর সেই কারণে মুকুল রায় এই বৈঠকে আসতে পারেননি।” অর্থ্যাৎ দিলীপ ঘোষ এবং তার ঘনিষ্ঠ মহলের একাংশ মুকুল রায় অসুস্থতার কারণেই যে এই বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি, সেই বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে রাজ্য বিজেপির একাংশ এই বিষয়টি তুলে ধরলেও, অনেকে আবার বলছেন, এর পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। তা না হলে মুকুল রায়ের মত অভিজ্ঞ ব্যক্তি কেন প্রথম নির্বাচন পরবর্তী বৈঠক থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকদের দাবি, প্রথম তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুকুল রায় ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়কার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা, সাংসদদের তৃণমূল থেকে এনে বিজেপির পতাকা ধরাতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। তবে সেদিক থেকে মুকুল রায়কে তেমন কোনো যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। এমনকি তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ার পরেও রাজ্য বিজেপির কোনো নেতা তার খোঁজ নেননি। সেদিক থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিপক্ষ দলের নেতা হয়েও, তার সহধর্মিণীর খোঁজ নিতে হাসপাতালে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।

আর তারপরেই মুকুল রায়ের সহধর্মিনীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি মুকুল রায়। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, দিলীপবাবু কি কারনে এসেছেন হাসপাতালে, তা তিনি জানেন না। আর সেই সময় থেকেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যে তার বনিবনা নেই, সেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করে। আর এবার রাজ্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুকুল রায়ের অনুপস্থিতি নানা প্রশ্ন তুলে দিল।

যদিও বা করোনা এবং পারিবারিক সদস্যার অসুস্থতার কারণেই যে মুকুল রায় এই বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি, সেই বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দিলীপবাবু। তবে মুকুল রায়কে নিয়ে যে কথাই বলা হোক না কেন, রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তার অনুপস্থিতি মুকুল রায়ের মত অভিজ্ঞ নেতার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কার্যকলাপকে অনেকটাই জল্পনার মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!