দলীয় চেয়ারম্যানকে মারধর, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর অশান্তিতে রণক্ষেত্র কলকাতা! কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য August 1, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল কমছে না কিছুতেই। ছাত্র থেকে শুরু করে যুব, মাদার থেকে শুরু করে কৃষক, সমস্ত সংগঠনেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তাদের পথ চলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেন একাংশ। ইতিমধ্যেই তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে ঘাসফুল শিবির। নতুন করে সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তার মাঝেই এবার পরিবহন ইউনিয়নে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। যেখানে এক গোষ্ঠীর তরফ থেকে আর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ তুলতে দেখা গেল। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রীতিমতো সরগরম কলকাতা রাজাবাজার এলাকা। জানা যায়, গত জুলাই মাসের 19 তারিখে নোনাপুকুর ট্রাম ডিপো সমবায়ের চেয়ারম্যান দেবাশিস দের উপর হামলা করা হয়। পরবর্তীতে বিরোধী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তার বাড়িতে এসে গুন্ডামি করা হয় বলেও অভিযোগ। আর তারপরেই দেবাশিসবাবু থানায় গিয়ে এফআইআর করেন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অশোক সরকারের বিরুদ্ধে। যদিও বা দেবাশিসবাবুর তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছেন অশোকবাবু। একাংশ বলেছেন, পরিবহন ক্ষেত্রে এখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দুই নেতা নেত্রীর দ্বন্দ্ব রয়েছে। একজন মদন মিত্র এবং আর এককজন দোলা সেন। আর সেই দুই গোষ্ঠীর বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে এই সমস্ত নেতাদের মধ্যে। তবে এই গোটা ঘটনায় যে তৃণমূলের চাপ ক্রমশ বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এ প্রসঙ্গে নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোর সমবায়ের চেয়ারম্যান দেবাশিস দে বলেন, “প্রথমে 19 জুলাই আমাকে রাজাবাজার ট্রাম ডিপোর সামনে আক্রমণ করা হয়। আমার পা ভেঙে যায়। এরপর কন্ট্রাকচুয়াল কর্মীরা লোনের দাবিতে নোনাপুকুর সমবায় অফিস ঘেরাও করে। এমনকি আমার বাড়িতে এসে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে। রাজাবাজার থানায় এফআইআর করেছিলাম। ওরা হুমকি দেয়, অভিযোগ না তুলে নিলে গুলি করবে। ভোটের আগে ওরা সবাই বিজেপি হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার তৃণমূলে ফিরে এসে গুন্ডামি করছে।” যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে নিজের যুক্তি দেন অশোক সরকার। এদিন তিনি বলেন, “অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। প্রমাণ করতে বলুন। এদিন ধর্মতলার কন্ট্রোল রুমের কর্তব্যরত কর্মীদের মারধর করে দেবাশিসের লোকজন। চাকরি আর প্রমোশন দেওয়ার নাম করে উনি লোকের কাছ থেকে টাকা তোলেন। আর কিছু হলেই আমার নামে অভিযোগ করেন।” আর দুই পক্ষের দুই নেতা যেভাবে একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছেন, তাতে শাসকদল যে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে জেরবার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই সমগ্র বিষয়টিকে নিয়ে চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -