দলীয় কোন্দলে অতিষ্ঠ হয়ে পদ ছাড়তে চান হেভিওয়েট তৃণমূল নেতানেত্রী! তীব্র শোরগোল শাসকশিবিরে! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য জয়ের হ্যাটট্রিক করতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এরাজ্যে তলব করে এনেছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর আইপ্যাক টিমকে। প্রশান্ত কিশোর শাসক দল তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করতে অবলম্বন করছেন নানা পদ্ধতি। বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দল থেকে কর্মী সদস্য ভাঙিয়ে এনে শাসক দলের কলেবর বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। কিন্তু শাসক দলের অন্দরের একটি গুরুতর সমস্যা নাজেহাল করে দিচ্ছে। বহু চেষ্টা করেও দলের অন্দরের মতভেদ, মতান্তর, অন্তর্দ্বন্দ্ব কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার হুঁশিয়ারি দিলেও বিশেষ কাজ হচ্ছে না। দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, গোষ্ঠীকোন্দল বারবার সামনে এসে পড়ছে। এরফলে সংগঠন দুর্বল হয়ে দলে ভাঙ্গনের সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে রাজ্যের বেশ কিছু স্থানে। সম্প্রতি অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দানের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডির করঞ্জি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্মৃতিকণা দেবশর্মা সরকার। তার স্বামী সুবীর সরকার, যিনি শাসকদলের একজন প্রভাবশালী নেতা। তিনিও তৃণমূলের দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এমনকি তাঁদের ইস্তফার জন্য দলের অন্দরের অন্তর্দ্বন্দ্ব, গোষ্ঠীকোন্দলের তীব্রতার কথা জানিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাসকে এ বিষয়ে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা। যদিও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয়টি মেনে নিতে স্বভাবতই নারাজ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্থানীয় তৃণমূল সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডির করঞ্জি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর স্বামীকে শাসক দলের কিছু সদস্য কাজে প্রচন্ডভাবে বাধা দান করছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও পর্যন্ত দিয়েছে তাঁদেরকে। দলের বিরুদ্ধে এমনি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে করঞ্জি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান স্মৃতিকণা দেবশর্মা সরকার বলেছেন, ” আমি পঞ্চায়েত প্রধানের পদে বসেও সরকারি কাজ করতে পারছি না দলের একাংশের বাধা দেওয়ার জন্য। দলের লোকেদের মনের মতো কাজ না করায় আমার স্বামী ও আমার উপর নানা অত্যাচার করা হচ্ছে। আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি লিখিতভাবে আমাদের জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি। দলের মধ্যেই এই কোন্দলেরে জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি ও আমার স্বামী। ” তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস তৃণমূল দলের অন্দরের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি মেনে নেননি। তাঁর কথায়, ” কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ সেখানে নেই। কয়েকজন দলে থেকে ধান্দাবাজি করার চেষ্টা করছে, এমনটাই আমি খবর পেয়েছি। প্রধান ও তাঁর স্বামীর অভিযোগ পেয়েছি।” প্রসঙ্গত একদিকে যখন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর দলের সদস্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সদাব্যস্ত তখন দলের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব শাসক দলের কাছে বারবার অশনি সংকেত হয়ে দেখা দিচ্ছে। ইতিপূর্বে অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে লোকসভা ভোটে বেশ কিছু স্থানে ভরাডুবির সম্মুখীন হতে হয়েছিল শাসক দলকে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের এই ক্ষত যদি মেরামত করা না যায়, তবে তার জন্য ফল ভুগতে হবে শাসক দলকে। এমনটাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত। আপনার মতামত জানান -