এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তার, থানায় ঢুকে ব্যাপক মারধর- ভাংচুর ঘাসফুল বাহিনীর! গুরুতর আহত ৪ পুলিশ

দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তার, থানায় ঢুকে ব্যাপক মারধর- ভাংচুর ঘাসফুল বাহিনীর! গুরুতর আহত ৪ পুলিশ

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে দিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিজেপির সাথে প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করছে বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ তুলতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বিগত বাম আমলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যে অভিযোগ তুলত, বর্তমান সময়ে রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতায় আসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ তুলছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটল রাজ্যে। যেখানে তৃণমূল নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা নিয়ে থানায় গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালাল তৃণমূলের কর্মীরা। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। এভাবে আইনকে হাতে তুলে নিয়ে থানায় গিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের এই তান্ডব নিঃসন্দেহে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার সুন্দরবন উপকূলীয় থানা রাধানগর গ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছিল। আর এরপরই তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে গোটা ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, ধৃতরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে পরিচিত। এদিকে এই ঘটনার পরই রবিবার সকালে রাধানগর গ্রামের বেশকিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক কোস্টাল থানায় হাজির হয়ে তাদের কর্মীদের অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, থানায় উপস্থিত হওয়া তৃণমূল কর্মীরা নেতাদের মুক্তির দাবিতে থানার বাইরে থেকে অশ্লীল মন্তব্য করতে শুরু করেন। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হন আহত হন চার পুলিশ কর্মী। আর এই গোটা ঘটনাতেই এখন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

একাংশের প্রশ্ন, বিরোধীদের দিকে সামান্য অভিযোগ উঠলেই তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু শাসক দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে থানায় এসে হই হট্টগোল করে পুলিশকর্মীদের আহত করে গেলেও, কেন তাদেরকে এভাবে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে? তাহলে কি রাজ্য সত্যি সত্যিই আইনের শাসন ভুলুণ্ঠিত? তৃণমূল বলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করলেও কি তাদের সাতখুন মাপ?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদের এই প্রসঙ্গে গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, “তৃণমূল কর্মীদের ধরে নিয়ে লকআপে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এটা চলছিল। তাই নিয়েই স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পার্টি অফিসের মধ্যে থাকা তৃণমূল কর্মীদের বের করে বেধড়ক মারধর করা হয়। মহিলা থেকে শিশু, পুলিশের লাঠির আঘাত থেকে কেউ রক্ষা পায়নি‌। আমরা বিষয়টি পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছি।”

তবে তৃণমূল বিধায়ক যে কথাই বলুন না কেন, ধৃতদের মুক্তির দাবিতে যেভাবে তৃণমূলের এক শ্রেণীর কর্মী সমর্থকরা রীতিমত থানায় গিয়ে পুলিশকে আক্রান্ত করলেন, তাতে তৃণমূলের এই দাপট দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত জনসাধারণ। ক্ষমতায় থেকে যদি এইভাবে আইনের রক্ষাকর্তা তৃণমূল বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হন, তাহলে মানুষ কোথায় সুবিচার পাবে! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে বড়সড় প্রশ্ন। সব মিলিয়ে থানায় পুলিশ কর্মীদের আক্রমণ এবং তাদের মুক্তির দাবিতে তৃণমূল কর্মীদের পুলিশের উদ্দেশ্যে এই হামলা, গোটা ঘটনাকে কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!