এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সংবাদমাধ্যমকে ‘দু’পয়সা’র বলে মন্তব্য করে বিতর্কে মহুয়া মৈত্র, চাইলেন ক্ষমা ?

সংবাদমাধ্যমকে ‘দু’পয়সা’র বলে মন্তব্য করে বিতর্কে মহুয়া মৈত্র, চাইলেন ক্ষমা ?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম। কিন্তু সেই সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্যে কিছুদিন আগে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছিলেন নদীয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যেখানে তাঁর দলের কর্মী সভায় সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি নিয়ে দুই পয়সার সংবাদমাধ্যমকে কেন ডাকা হয় বলে দলের নেতাদের প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেই গোটা রাজ্য জুড়ে মহুয়া মৈত্রর মত একজন বিচক্ষণ নেত্রীর পক্ষ থেকে এই ধরনের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসায় সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।

সাংবাদিকদের তরফ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় মহুয়া মৈত্রের এই ধরনের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। তবে তার এই ধরনের মন্তব্যকে নিয়ে নানা মহলের তরফ থেকে আপত্তি জানানো হলেও তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন মহুয়া মৈত্র। সূত্রের খবর, এদিন একটি টুইট করতে দেখা যায় তাকে। যেখানে ইংলিশে করা সেই টুইটে মহুয়া মৈত্র বুঝিয়ে দিতে চান যে, নিম্নমানের দুঃখজনক সঠিক কথা বলার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। অর্থাৎ তিনি ক্ষমা চেয়েও যে তার এই মন্তব্য সঠিক, তা এই পোস্ট থেকেই পরিষ্কার করে দিলেন বলেই দাবি করছে একাংশ।

স্বাভাবিকভাবেই কেন ক্ষমা চেয়েও নিজের অবস্থান থেকে সরলেন না এই তৃণমূল সাংসদ, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনেকে বলছেন, তাহলে ক্ষমা চাওয়ার কি ছিল? তিনি যখন নিজের মন্তব্যের জন্য অনুশোচনা করছেন না, তখন ক্ষমা চেয়ে এই ধরনের কথা বলার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন ছিল না বলেই দাবি একাংশের। যে সংবাদমাধ্যম নানা সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনা মানুষের সামনে তুলে ধরে, সেই সংবাদমাধ্যমকে দুপয়সা বলার অধিকার মহুয়া মৈত্রকে কে দিল, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

বিভিন্ন মহলে যখন মহুয়াদেবীর এই ধরনের বক্তব্যকে নিয়ে আপত্তি তৈরি হয়েছিল, তখন তিনি চাপে পড়ে এই ধরনের পোস্ট করলেন। তবে এই পোস্টের কোনো সারবত্তা নেই বলেই দাবি করছেন সকলে। কেননা মহুয়াদেবী হয়ত বা ক্ষমা চাইলেন ঠিকই। কিন্তু পাশাপাশি তিনি তার পোস্টের মধ্যে দিয়ে এটাও বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, তিনি যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার যে এই মন্তব্যের জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই, তা স্পষ্ট। আর তাই দ্বিতীয়বার মহুয়া মৈত্রের এই ধরনের পোস্টকে কেন্দ্র করে এবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি নদীয়ার গয়েশপুরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন নদীয়া জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আর সেখানেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে দেখে কার্যত তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতে দেখা যায় তাকে। আর তারপরই প্রকাশ্যে মাইকে তিনি জানিয়ে দেন, দু’পয়সার সংবাদ মাধ্যমকে কে ডাকে! পাশাপাশি এই জন্য দলের নেতাদের ধমক দিতেও দেখা যায় তাকে।

আর এর পরেই তার এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন বিতর্ক চরমে, তখন কার্যত চাপে পড়ে এই ধরনের পোস্ট করেন মহুয়া মৈত্র। যেখানে তিনি ক্ষমা চাইলেও কার্যত সঠিক মন্তব্য বলে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেখা গেল তাকে। যা নিয়ে এখন নতুন করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!