এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলীয় কর্মসূচিতে ব্রাত্য রাজ্যের নেতা, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার উত্তরবঙ্গ!

দলীয় কর্মসূচিতে ব্রাত্য রাজ্যের নেতা, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার উত্তরবঙ্গ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই এখানকার বর্তমান জেলা সভাপতির সঙ্গে প্রাক্তন জেলা সভাপতির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়। তবে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়ার পর কিছুদিন সকলে শুধড়ে গেলেও আবার মাঝেমধ্যেই সেই দ্বন্দ্ব বেড়িয়ে পড়ে। আর এবার ফের আরও একবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মুখে পড়ে গেল কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যেখানে তুফানগঞ্জে দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হলেও সেই ব্যানারে নাম থাকতে দেখা গেল না জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্যের সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। যার ফলে জেলা নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে দলের একাংশ সরব হতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি কার্যত আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, রবিবার তুফানগঞ্জে তৃণমূলের একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার আগে একটি ব্যানার লাগানো হলেও, সেখানে জেলা নেতৃত্বের একাংশের নাম থাকলেও, নাম নেই রাজ্যের সহ-সভাপতি তথা জেলার প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। আর তারপরেই একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সম্পাদক খোকন মিয়া বলেন, “কোচবিহার জেলা সভাপতি লিমিটেড চলছে। রবীন্দ্রনাথ ডানপন্থী আন্দোলনের মুখ। তার নাম ব্যানারে থাকবে না কেন?”

অনেকে আবার বলছেন, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বর্তমান জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সম্পর্ক ভালো নয়। সেই কারণেই হয়ত বা কৌশলে রবীন্দ্রনাথবাবুকে এই কর্মসূচি থেকে দূরে রাখতে পার্থবাবু এবং তার গোষ্ঠীরা এই ধরনের ব্যানার ছাপিয়ে দিয়েছেন। তবে যে কোনো কারণেই হোক, এই গোটা বিষয় নিয়ে যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসার কারণে ঘাসফুল শিবির যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! কেন এভাবে ব্যানারে সকলের নাম থাকলেও রাজ্যের সহ সভাপতির নাম নেই? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “রবিবাবুর বৈঠকে পার্থকে ডাক পান না। পার্থ আবার রবিবাবুকে ডাকেন না, এমন কোনো অভিযোগই কাম্য নয়। দলের স্বার্থে সকলের একসঙ্গে চলা উচিত।” অন্যদিকে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে।

এদিন তিনি বলেন, “জেলা সভাপতি আমাকে কোনো কর্মসূচিতে ডাকেন না।” তবে দলের বাইরে তিনি এই ব্যাপারে কিছুই বলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। সব কিছু মিলিয়ে একটি ব্যানারকে কেন্দ্র করে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ভয়াবহ আকার ধারণ করল। তবে এই দ্বন্দ্বকে সামাল দিতে এখন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!