এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলীয় নেতাদের একের পর এক বিস্ফোরক আক্রমণ, শুভেন্দুকে নিয়ে এবার সাপের ছুঁচো গেলার দশা হলো তৃণমূলের

দলীয় নেতাদের একের পর এক বিস্ফোরক আক্রমণ, শুভেন্দুকে নিয়ে এবার সাপের ছুঁচো গেলার দশা হলো তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে শাসক দল তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছে। যদিও, দল ছেড়ে তিনি চলে যান নি, তবে দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ, তাঁর মতো জনপ্রিয় নেতাকে হারালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় রকম বিপাকে পড়বে শাসকদল তৃণমূল, তা অনেকেই মনে করছেন। বস্তুত, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সাপের ছুঁচো গেলার মতো অবস্থা তৃণমূলের। যখন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে স্বমহিমায় দলে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে, সেসময়ই দলের অন্দর থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ চালাচ্ছেন দলের হেভিওয়েটরা। এর ফলে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব আরো বেড়ে যেতে পারে বলে বিশ্লেষকদের অনুমান।

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে দলে ফিরিয়ে আনার জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাম নগরের মেগা শো থেকে শুভেন্দু অধিকারী সুর নরম করেছিলেন দলের প্রতি। তিনি জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূল নেত্রী তাঁকে দল থেকে তাড়িয়ে দেননি, তিনিও দল ছেড়ে চলে যান নি। অনেকেই মনে করেছিলেন যে, এবার বুঝি দলের সঙ্গে তাঁর অভিমানের বরফ গলতে চলেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি আবার বাধ সাধলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি।

প্রসঙ্গত, রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি হলেন অধিকারী পরিবারের বিরোধী নেতা। ইতিপূর্বে, শুভেন্দু অধিকারী ও অখিল গিরি বারবার একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। সম্প্রতি অখিল গিরি মন্তব্য করলেন, ” শুভেন্দুর দলে থেকেই বা কি আর না থেকেই বা কি! শুভেন্দুর দলে থাকা আর না থাকা দুটোই সমান। কোনও কাজই সে করে না। অনেক শুভেন্দুই রয়েছেন দলে। দলনেত্রীই শেষ কথা।” অনেকে মনে করছেন এর ফলে শুভেন্দু অধিকারীর দলে ফেরার ব্যাপারে আবার প্রশ্নচিহ্ন দাঁড়িয়ে গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে অখিল গিরিকে অবশ্য দলের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। কারন অনেকেই মনে করছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী যদি দল ছেড়ে চলে যান তবে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের হাল ধরতে প্রয়োজন হবে অখিল গিরিকেই। সেকারণে অখিল গিরিকেও চটাতে চাইছে না তৃণমূল। এদিকে ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারীকে দলে আনতে সচেষ্ট হয়েছে তৃণমূল। আগামী সপ্তাহে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়ের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে, এই বৈঠকের আগেই অখিল গিরির এই মন্তব্য দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আরও শীতল করে দিল বলে অনেকের অনুমান।

ইতিপূর্বে শুভেন্দু অধিকারীকে বোঝাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন ভোট কুশলী পিকে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর দেখা না হলেও ফোনে কথা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু তারপরই শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের টাউন হল থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারের প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামের গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বেচতিস রে, আলু বেচতিস।” কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পর যথেষ্ট রকম ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দলে ফেরার সম্ভাবনা আরও হ্রাস পেয়েছিল। সম্প্রতি অখিল গিরির তীর্যক মন্তব্য আবার তাঁর দলে ফেরার পথে কাটা ছড়ালো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!