এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলীয় নেতৃত্ব বিজেপির দালাল? হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে ফের জল্পনা অব্যাহত!

দলীয় নেতৃত্ব বিজেপির দালাল? হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে ফের জল্পনা অব্যাহত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। জেলায় জেলায় দেখা দিচ্ছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। বিশেষত, কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একাধিকবার সামনে এসে পড়েছে। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দলের বিরুদ্ধে বারবার গোলাবর্ষণ করছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে এই জেলার অপর এক বিধায়ক দলের বিভিন্ন নেতাদের ‘ বিজেপির দালাল ‘ বলে মন্তব্য করলেন। যা নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়ে গেল জেলা জুড়ে।

গতকাল মঙ্গলবার কোচবিহার জেলায় দিনহাটার সিতাইয়ের বেসিক স্কুলের মাঠে তৃণমূলের এক কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। গতকাল ছিল দিনহাটার বিধানসভা ভিত্তিক দলীয় কর্মী সভা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যর সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভার আয়োজন চলছে। গতকালের এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন, সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মাবসুনিয়া সহ জেলার অন্যান্য বিধায়কেরা। এই সভা থেকেই দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বক্তব্য রাখলেন বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মাবসুনিয়া।

গতকালের এই কর্মীসভাতে বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মাবসুনিয়া জানালেন যে, গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে যারা বিজেপির হয়ে দালালী করেছেন, আজ তাদের অনেকেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০১৯ এ তাঁরা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ২০২১ এও তাঁরা গদ্দারী করবেন। তিনি আরো জানান যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তার সমস্ত রকম শক্তি দিয়ে কোচবিহার দখলের চেষ্টা চালাবে। তাঁর কথায়, কে কত বড় নেতা? কার কুয়োতে কতটা জল? এই সমস্ত কিছুই মাপছে জেলার নেতৃত্ব। এভাবেই গতকাল জেলা নেতৃত্বর সামনেই এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিধায়ক জগদীশবাবু।

গতকালের কর্মীসভায় বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মাবসুনিয়া আরো জানালেন যে, গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যারা বিজেপির হয়ে দালালী করেছেন। এবার তাঁদেরকে চিহ্নিত করার প্রয়োজন আছে। সেসময় তৃণমূলের হারার পেছনে অনেকেই দায়ী ছিলেন। এখন তাঁরা জেলার আনাচে-কানাচে আছেন। আজ এদের মধ্যে অনেকেই প্রথম সারিতে উঠেছেন। এমনকি অনেকে আবার দলের নেতৃত্ব দেবার জায়গায় পর্যন্ত এসে গিয়েছেন। তাদেরকে চিহ্নিত করার নির্দেশ দিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিধায়ক বললেন, ” এরা বেইমান, এরা গদ্দার, এরা বিশ্বাসঘাতক। আমি নিশ্চিত এরা ২০২১’এও বিশ্বাসঘাতকতা করবে। এদেরকে চিনে রাখতে হবে।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, বিজেপির হয়ে তাঁরা লড়াই করছেন। সব সময় তাঁদের দলের কর্মীরা মার খাচ্ছেন, তাঁদের ঘরবাড়ি ভাঙ্গা হচ্ছে। কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে কিছু মানুষ বিজেপিকে সাহায্য করছেন, তাদের রসদ, ইন্ধন দিচ্ছেন। এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।

গতকালের কর্মীসভা থেকে তিনি আরও জানালেন যে, আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের কঠিন লড়াই অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে। বিজেপি তার সমস্ত শক্তি দিয়ে কোচবিহার দখলের চেষ্টা চালাবে। আর দলের কেউ কেউ বিজেপিকে কেউ সাহায্য করবে, তাদের এ কাজে মদত দেবে। যা হলে দলের অত্যন্ত ক্ষতি হবে। তাই এই সমস্ত লোকদের চিহ্নিত করে রাখা প্রয়োজন। তাঁর দাবি, নেতৃত্ব চাইলেই এই বিশ্বাসঘাতকদের নাম বলে দিতে হবে।

তবে, গতকাল সিতাই এর তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মাবসুনিয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানালেন যে, এটা সম্পূর্ণই তাঁর নিজস্ব বক্তব্য। এ বিষয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। এভাবে গতকাল বিধায়ক জগদীশ বাবুর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দলের গোষ্ঠী কোন্দলের চিত্র আবার সামনে উঠে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!