দলীয় প্রচারকে সরকারের কাছে যুক্ত করলেন মমতা, কটাক্ষ বিরোধীদের! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য June 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে বাম সরকারের অবসান ঘটাতে জান-প্রাণ লাগিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। স্লোগান ছিল, “পরিবর্তন চাই।” যে স্লোগানে গলা মিলিয়েছিলেন সমাজের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। পরিবর্তন এসেছিল। গঠিত হয়েছিল প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। তারপর ঘাসফুল শিবিরকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। 2016 সালে বিপুল জয়ের পর আরও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠেছিল তৃনমূল কংগ্রেস। তবে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই চাপ বাড়ে রাজ্যের শাসকদলের। ক্রমাগত বিজেপির উত্থানে অস্বস্তি বাড়তে থাকে ঘাসফুল শিবিরের। আর সদ্যসমাপ্ত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখা নিয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করে তৃণমূল কংগ্রেস। যার মধ্যে অন্যতম তৃণমূলের এবারের নির্বাচনী প্রচারের স্লোগান। অতীতের শ্লোগানগুলো রাজনৈতিক স্লোগান হলেও, এবারের প্রচারে কিছুটা অভিনবত্ব স্লোগান সামনে এসেছে। যেখানে তৃণমূলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের মুখে শোনা গেছে, খেলা হবে। আর তৃণমূলের এই স্লোগান সাধারণ মানুষের কাছেও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বাজার-হাট সব জায়গাতেই মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা হলেই বলতে শোনা যেত, “খেলা হবে”। অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক প্রচারে সেই “খেলা হবে” স্লোগান ব্যবহার করা হলেও তা কার্যত সাধারণ মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক ভাষার অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর এবার সেই “খেলা হবে” স্লোগান দিয়ে তৃণমূল তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সেই শ্লোগানকে যুক্ত করা হল সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে। জানা গেছে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে একটি ক্রীড়া কর্মসূচির সূচনা করা হবে। যার নাম দেওয়া হবে, খেলা হবে। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল এতদিন এই শ্লোগান ব্যবহার করেছে। আর ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই নিজেদের রাজনৈতিক স্লোগানকে কেন তারা এখন সরকারের সঙ্গে বা প্রশাসনের উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচনের প্রচারের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করলে ক্লাবে ক্লাবে ফুটবল বিতরণ করা হবে। আর এবার সেই কাজ শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রত্যেকটি পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে আগামী জুলাই মাসের শুরু থেকে রাজ্য সরকারের কাছে রেজিস্টার ক্লাবগুলোকে ফুটবল তুলে দেওয়া হবে বলে খবর। আর এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে “খেলা হবে”। আর নিজেদের রাজনৈতিক প্রচারে যে স্লোগান সবথেকে বেশি মাত করেছিল, সেই স্লোগান দিয়ে রাজ্য সরকার উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করায় রীতিমত খুশি তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তবে এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। বলা বাহুল্য, নির্বাচনী প্রচারে যখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে “খেলা হবে” স্লোগান দেওয়া হয়েছিল, তখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। তাদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মানুষের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ হোক। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে বিকাশ এবং উন্নয়নের খেলা হবে। এমনকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই ব্যাপারে বাংলার মাটিতে প্রচার করতে এসে “খেলা হবে” শ্লোগানকে নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের এই “খেলা হবে” স্লোগানকে যে বেশি গ্রহণ করেছে বাংলার মানুষ, তা ফলাফলের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তাই এবার নিজেদের নির্বাচনী ফলাফলে যে স্লোগান সবথেকে বেশি বাজিমাত করেছে, সেই “খেলা হবে” নাম দিয়ে এবার সরকারি প্রকল্প চালু করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিরোধীদের দাবি, নির্বাচনে জয়লাভের পর ক্লাবগুলোকে তোষণ করে নতুন খেলা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন শুধুমাত্র নিজের দলের ক্ষেত্রে এই স্লোগান ব্যবহার করতেন। কিন্তু এবার প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও সেই শ্লোগান ব্যবহার করে রাজ্যবাসীকে খেলার ছলে গ্রহণ করছে তৃণমূল সরকার বলে কটাক্ষ বিরোধীদের। আপনার মতামত জানান -