এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলীয় প্রভাবশালী নেত্রীকে শৌচাগারে আটকে তাণ্ডব তৃণমূল নেতা-কর্মীদের! নীরব দর্শক পুলিশ!

দলীয় প্রভাবশালী নেত্রীকে শৌচাগারে আটকে তাণ্ডব তৃণমূল নেতা-কর্মীদের! নীরব দর্শক পুলিশ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে হিমশিম খাচ্ছে। আর তার ওপর নতুন করে বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক তরজায় রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছে রাজ্যের শাসকদলের বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের কার্যালয় ঘিরে চলছে বিক্ষোভ। আবার কোথাও দলের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে দলের অন্দরেই। মোদ্দা কথা, শাসক শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি রাজ্যের সর্বত্র দেখা যাচ্ছে।

2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠনের জোর বজায় রাখা যে কতটা জরুরি তা মূল্যায়ন করতে গিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার জন্য আবেদন করেন প্রত্যেক রাজ্যে। কিন্তু তাঁর কথা যে বিশেষ বিশেষ জায়গায় মোটেই ধর্তব্যের মধ্যে ধরা হয়নি, সে বিষয়ে একমত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ। আর এবার শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি ফুটে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ে। সূত্রের খবর, বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল পরিচালিত মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে শৌচাগারে বন্দী করে তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর কর্মীরা।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নিগৃহীত ওই পঞ্চায়েত প্রধান জানান, তিনি পুলিশকে সম্পূর্ণ ঘটনা জানালেও এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি করেন উক্ত মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান। সবংয়ের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ বহু পরিচিত রাজনৈতিক মহলে। জানা যাচ্ছে, যাঁরা মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে আক্রমণ করেছিলেন তাঁরা এলাকার তৃণমূল নেতা মানুষ ভূঁইয়ার গোষ্ঠীর লোক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ অনেকের মতে, এই হামলাকারী হিসাবে ছিলেন মানুষ ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ গৌড় বেরার নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা। বুধবার সবংয়ের পঞ্চায়েত অফিসের হামলা চালানোর পর হামলাকারী তৃণমূল কর্মীরা পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা দেবীকে চরম হেনস্থা করে বলে জানা যায়। আর তারপর তাঁকে দীর্ঘক্ষণ শৌচাগারে বন্দি করে রাখা হয়। অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা দেবী এদিন নিজের পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে দাবি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যদি কোন রকম ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন।

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, তৃণমূলের ভেতরে ঘুণপোকার মতন বাস করতে শুরু করেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে যতই মেটানোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক না কেন, আদপে কিন্তু তা মিটছেনা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যদি বন্ধ না হয়, তাহলে কিন্তু আগামী দিনের পরিস্থিতি শাসকদলের জন্য আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে সে কথা নিঃসন্দেহে দাবি করছে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে সবংয়ের ঘটনা যে তৃণমূল শিবিরকে চরম অস্বস্তিতে ফেলল তা এককথায় মেনে নিচ্ছে সব মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!