দলীয় সদস্যদের অনাস্থা, অপসারিত তৃণমূলের প্রধান, প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 30, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময় এলাকা দখল থেকে শুরু করে নেতৃত্ব নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এবার কিছুটা অন্যরকম ছবি চোখে পড়ল। যেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের পক্ষ থেকেই দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে আনা হল অনাস্থা। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মালদহের মানিকচকের আকার ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। যেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরাই দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনায় গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত 7 আসন বিশিষ্ট। বর্তমানে এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। কিন্তু সেখানকার তৃণমূলের প্রধান নাহারুল শেখের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে দেখা যায় তৃণমূলের চার সদস্যকে। যার জেরে তাদের সেই অনাস্থার কারণে সরে যেতে হল তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধানকে। কিন্তু কেন এভাবে দলের পঞ্চায়েত প্রধানকে অনাস্থা এনে সরিয়ে দিলেন তারা? এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্য তথা উপপ্রধান বলাই সাহা বলেন, “প্রধানের বিরুদ্ধে আস্থা না থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন টেন্ডারের ক্ষেত্রে সদস্যদের অন্ধকারে রেখে প্রধান একনায়কতন্ত্র চালিয়েছিলেন। তাই দলের হয়েও তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে।” একই অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে আর এক পঞ্চায়েত সদস্যকে। স্বভাবতই এই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে প্রকাশ্যে চলে এল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, দলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে যেভাবে দলের সদস্যরা অনাস্থা এনে সরিয়ে দিলেন, তাতে কি স্থানীয় নেতৃত্ব চাপে পড়লেন না? এর পেছনে কি স্থানীয় নেতৃত্বের সায় ছিল? এদিন এই প্রসঙ্গে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, “প্রধান ঠিকভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। অন্যান্য সদস্যদের তিনি ঠিকমতো গুরুত্ব দিতেন না। তাই সদস্যরা আমাকে জানিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই অনাস্থা আনা হয়।” অর্থাৎ প্রধানের বিরুদ্ধে আগে থেকেই যে জোটবদ্ধ ছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা, তা অঞ্চল সভাপতির কথার মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেল। স্বভাবতই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -