এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলীয় সংগঠনে গুরুত্ব কমছে হেভিওয়েট মন্ত্রীদের, এইসব জেলা নিয়ে নয়া চিন্তা তৃণমূলের!

দলীয় সংগঠনে গুরুত্ব কমছে হেভিওয়েট মন্ত্রীদের, এইসব জেলা নিয়ে নয়া চিন্তা তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরেই “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি লাগু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে যারা মন্ত্রী পদে থাকবেন, তারা দলের সংগঠনের তেমন কোনো পদে থাকতে পারবেন না বলে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু জেলায় যারা মন্ত্রীর পাশাপাশি দলের শীর্ষ পদে রয়েছেন, তাদের বদল করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানের আগে এবং পরে বেশকিছু জেলার সংগঠনে ব্যাপক বদল আনার ব্যাপারে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে যে সমস্ত জেলাগুলো নিয়ে জল্পনা চলছে, তার মধ্যে অন্যতম উত্তর 24 পরগনা, হাওড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। মূলত এই তিন জেলাতে যারা বর্তমান সংগঠনের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন, তারা আবার রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। তাই তাদের সরিয়ে সেখানে অপেক্ষাকৃত তরুণ মুখকে আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, আজ অথবা আগামীকাল তৃনমূলের সংগঠনে ব্যাপক বদল আনা হতে পারে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিভিন্ন জেলা থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, বর্তমানে উত্তর 24 পরগনা জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রাজ্যের মন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও হাওড়া গ্রামীণ এবং শহরের পুলক রায় এবং অরূপ রায় দুজনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। একইভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতির দায়িত্বে থাকা সৌমেন মহাপাত্রও রাজ্যের মন্ত্রী। তাই তাদের বদলে সেখানে নয়া নিয়ম অনুযায়ী তৃণমূলকে নতুন মুখ আনতেই হবে। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। এই সমস্ত জেলায় এতদিন এই সমস্ত নেতারা অত্যন্ত দায়িত্বের সহকারে দলকে শক্তিশালী করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বদলে এখানে যদি নতুন মুখ আনা হয়, তাহলে কারা দায়িত্ব পাবেন এবং তারা কিভাবে দলকে শক্তিশালী করতে সক্ষম হবেন!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন লক্ষ্য, 2024 সালে দিল্লির ক্ষমতা দখল করা। আর সেই কারণেই বিজেপিকে চাপে রাখতে বাংলা থেকেই সংগঠনের খোলনলচে বদলাতে চান তিনি। এক্ষেত্রে যারা বর্তমানে মন্ত্রী রয়েছেন, তাদেরকে সংগঠনের শীর্ষ পদ থেকে সরিয়ে সেখানে নতুন মুখ এনে সকলকে খুশি রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ধীরে ধীরে যে বৃদ্ধতন্ত্রকে সরিয়ে সংগঠনে নবীনদের বেশি প্রাধান্য দেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছে ঘাসফুল শিবির, তা তৃণমূলের এই সাংগঠনিক রদবদলের মধ্যে দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!