এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলীয় স্তরে বাড়তি গুরুত্ব শুভেন্দুর? প্রকাশ্য সভায় স্বীকার করে নিলেন দিলীপ ঘোষ!

দলীয় স্তরে বাড়তি গুরুত্ব শুভেন্দুর? প্রকাশ্য সভায় স্বীকার করে নিলেন দিলীপ ঘোষ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত বছরের শেষদিকে অমিত শাহের হাত ধরে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্মফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং বিজেপিকে ক্ষমতায় বসাতে তারা একত্রিত হয়ে লড়াই করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা। এক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষ এবং তিনি “রাম-লক্ষণ” বলেও জানাতে দেখা গিয়েছিল তাকে। অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের সঙ্গে হাতে হাত ধরে তৃণমূলকে সরানোর জন্য যে তিনি কাজ করবেন, তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। তবে তৃণমূলকে সরানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু নিজের চ্যালেঞ্জ রক্ষা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত করে সেখানে জয়লাভ করেছেন তিনি। আর তারপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে গুরুত্ব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান প্রতিপক্ষ অর্থাৎ বিরোধী দলনেতার আসনে বসানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিকে বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী পরিষদীয় রাজনীতির পাশাপাশি বিজেপির দলীয় সংগঠনের ক্ষেত্রে অনেকটা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বারবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো থেকে শুরু করে রাজভবনে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর চলে যাওয়া ব্যাপক জল্পনা তৈরি করেছে।

আর এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে একেবারে অবগত না থাকা দিলীপ ঘোষ কি শুভেন্দু অধিকারীর চাপ এবং তৎপরতার কারণে কার্যত দলীয় সংগঠনের পেছনের সারিতে পড়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। এমনকি দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে খুব একটা ভালো বনিবনা হচ্ছে না বলেও দাবি করতে শুরু করেছিলেন একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মসমিতির বৈঠকের কার্যত শুভেন্দু অধিকারী যে তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন, তা স্বীকার করে নিতে হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে‌। স্বাভাবিকভাবেই দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের ফলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরবর্তী ভাবনা এবং শুভেন্দু অধিকারীর বাড়তি গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী যে দলীয় সংগঠনে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন, তা নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেয় বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমরা এমন একজনকে পেয়েছি, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই করে ছিনিয়ে নিয়েছেন।” আর দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য থেকেও পরিষ্কার যে, আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারী আরও বড় কোনো জায়গায় পৌঁছে যেতে পারেন। একাংশ বলতে শুরু করেছেন, বিজেপির সংগঠনে সভাপতি শেষ কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে পরিষদীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলনেতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি সমমর্যাদা দেওয়া হতে পারে শুভেন্দু অধিকারীকেও বলে বিজেপির অন্দরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এমনকি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তৎপরতার ফলে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয়লাভ করা শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়েই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ানো সম্ভব। আর তাই তাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া বেছে নিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে অনেকে দাবি করতে শুরু করেছিলেন।

যার ফলে দিলীপ ঘোষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বলে দাবি করেছিল সমালোচক মহল। তবে এবার সেই সমস্ত কিছুকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয়লাভের বিষয়টিকে নিয়ে এসে তার কৃতিত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। যার ফলে শুভেন্দুবাবুর আগামী দিনে বিজেপির সংগঠনে বড় পদ প্রাপ্তির সম্ভাবনা উসকে উঠতে শুরু করেছে।

অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তেমন কোনো মুখ সামনে আনা হয়নি। এক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ যদি মুখ্যমন্ত্রী হন, তাহলে তার ভাষা, আদব-কায়দা নিয়ে জনতার মনে আগে থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। আর সেই কারণেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দেখে অনেকেই ভোটবাক্সে পদ্মফুল শিবিরকে সমর্থন করতে পারেননি বলে দাবি সমালোচক মহলের। সেদিক থেকে শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব যে রাজ্য রাজনীতিতে অনেকটাই, তা নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তার জয়লাভের পর কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাই এখন ঘরে এবং বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রাখতে শুভেন্দু অধিকারী যে ভারতীয় জনতা পার্টির বড় সম্পদ, তা দিলীপ ঘোষের মত নেতার কথা থেকেও উঠে এল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!