এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলকে ক্রমাগত অস্বস্তিতে ফেলায় এবার হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ, জল্পনা তুঙ্গে

দলকে ক্রমাগত অস্বস্তিতে ফেলায় এবার হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত কয়েক দিন যাবত গেরুয়া শিবিরে একের পর এক নেতা অস্বস্তিজনক মন্তব্য করে চলেছিলেন এবং তার মধ্যে সৌমিত্র খাঁ কিংবা বাবুল সুপ্রিয় অন্যতম। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের আগে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ব্যাপকভাবে ফেসবুক লাইভ করে দলের বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে আসানসোলের সংসদ এমন কিছু মন্তব্য করেন যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় তার কটাক্ষের লক্ষ্য হলো রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। জল্পনা তুঙ্গে ওঠে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে।

আর এবার বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তিদায়ক নেতাদের বিরুদ্ধে শোকজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছিলেন। কার্যত এই তিনজনকেই এবার উপরমহলের নোটিশ ধরানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ ফেসবুকে স্পষ্ট ভাষায় নাম না করে জানিয়ে দেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে কেন্দ্রে গিয়ে দিল্লির নেতাদের ভুল বোঝাচ্ছেন। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি সভাপতিও যে বুঝেও না বুঝে থাকেন সে কথাও বলেন তিনি।

একই সাথে তিনি রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি পদ ছেড়ে দিতে চান। যদিও পরে তিনি তাঁর ইস্ফতার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। অন্যদিকে সৌমিত্র খানের মতো একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার মন্ত্রীসভা থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর সোচ্চার হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি প্রথমে জানিয়েছিলেন, তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল বলেই তিনি দিয়েছেন। তাই নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যাবার পর বাবুল আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে উল্লেখ করেন, তার বলার ধরনের ভুল মানে করা হচ্ছে। এরমধ্যেই আবার বাবুলকে নিয়ে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করায় তাঁকে উল্লেখ করেও সরাসরি ফেসবুক পোস্ট করেন বাবুল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবার এই তালিকায় অন্যতম জায়গা করে নিয়েছেন বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। এমনকি তাঁদের দালাল নেতা বলেও অভিহিত করেন অমৃতা। খুব স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার ওপর বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে নির্দেশ দেওয়ার পরেও যে তা অনেকেই মানছেননা, তা স্পষ্ট। আর এবার সেই কারণে বড়োসড়ো শাস্তির মুখে পড়তে পারেন সেইসব নেতারা যারা ফেসবুকে পোস্ট করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন।

পুরো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্বের ঝড় ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একদিকে যখন বিধানসভা নির্বাচনের পর গেরুয়া শিবিরের সংগঠন ভেঙ্গে পড়ার মুখে, ঠিক সেসময় দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব পরিস্থিতি যে আরো খারাপ করে তুলবে, তা বলাইবাহুল্য। তাই এবার বাবুল সুপ্রিয়, সৌমিত্র খাঁ এবং অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের তরফ থেকে শোকজ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত তিন নেতা-নেত্রী কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!