প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের নেতারা দাবি করেন, মানবতার অপর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাস্তবিক অর্থে বিরোধীনেত্রী থাকার সময় হোক বা মুখ্যমন্ত্রী, বিভিন্ন জেলা সফরে গিয়ে কোথাও দুস্থ মানুষকে দেখলেই তার দিকে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিতে গিয়ে দেখা গেছে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি দলের কর্মীদেরও মানবতার মন্ত্রে দীক্ষিত করবার চেষ্টা করেছেন তিনি। বিভিন্ন জেলা সফরে বা দলীয় মিটিংয়ে গিয়ে দলকে নির্দেশ দিয়েছেন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আর এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে দুস্থের পাশে দাঁড়ালেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল।

জানা গেছে, মানিকচকের এক মেধাবী তরুণী সংগীতা মন্ডল স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শিক্ষক প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। এমনকি অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে তিনি তার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে সম্প্রতি একদিন হঠাৎ করেই সংগীতা মন্ডল জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। যেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তিনি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। আর এরপরেই চিকিৎসকরা তাকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও, এই বিপুল ব্যায়ভার কিভাবে তার দুস্থ পরিবার সামলাবে, তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যায় সেই পরিবার।

আর এর পরেই সেই পরিবারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানানো হয়। আর সেই খবর পেয়েই এবার সংগীতা মন্ডল এবং তার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল। যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর পর মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সেই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন, তাতে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলেই। এভাবেই যদি জনপ্রতিনিধিরা মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান, তাহলে সেই জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে মানুষের মনে আরও ভালো ধারণা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গৌড়বাবুর এই উদ্যোগকে রীতিমত মানবিকতার অনন্য নজির বলেই দাবি করছেন সকলে।

এদিন সেই পরিবারের পাশে দাঁড়ানো মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল বলেন, “ইতিমধ্যেই সঙ্গীতাকে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক হিসেবে এই ধরনের মানবিক কাজের দায়িত্ব আমার। সেই দায়িত্ব পালন করেছি। কলকাতায় এক দলীয় কর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছে ওই তরুণীর পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসায় সবরকম সাহায্যের জন্য।” বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতাদের দুর্ব্যবহার ভোটব্যাংকে প্রভাব ফেলেছে।

তবে এবার মেধাবী দুস্থ তরুনীর চিকিৎসার জন্য যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামী হয়ে পাশে দাঁড়ালেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি, তা সত্যিই গৌড়বাবু এবং তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে মানুষের কাছে কিছুটা হলেও উজ্জ্বল করল বলে দাবি একাংশের। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী গৌড়চন্দ্র মন্ডলের উদ্যোগে সংগীতা মন্ডল কত দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।