এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলনেত্রীর কড়া বার্তা! দ্বন্দ্ব ভুলে বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে একই মঞ্চে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী

দলনেত্রীর কড়া বার্তা! দ্বন্দ্ব ভুলে বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে একই মঞ্চে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল শিবিরে নিত্যদিন বেড়ে চলা গোষ্ঠীকোন্দলের কথা এখন সর্বত্র বিদিত। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বারংবার দলের সর্বস্তরে কড়া বার্তা দিয়েছেন গোষ্ঠীকোন্দল বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তা সত্বেও পরিস্থিতি কোনমতেই পাল্টাচ্ছে না বলে মত রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই। সংবাদ শিরোনামে একের পর এক উঠে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে সংঘর্ষ, হত্যার ঘটনা। এই অবস্থায় মালদায় দেখা গেল এবার সম্পূর্ণ অন্য ছবি। মালদাতেও গোষ্ঠী কোন্দল এর কথা সবার জানা। সে জায়গায় এবার একই মঞ্চে দেখা গেল তৃণমূলের দুই ভিন্ন গোষ্ঠীর নেতা-নেত্রীকে।

যা দেখে রীতিমত সাড়া পড়ে গেছে দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বলে জানা যাচ্ছে। গত চৌঠা মার্চ মালদায় সভা করতে এসে তৃণমূল নেত্রী দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাবার আবেদন করেন। মনে করা হচ্ছে, সেই সূত্রেই এবার মানিকচকে জেলা যুব তৃণমূলের সাংগঠনিক কর্মসূচিতে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল এবং প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। একই মঞ্চে দুই ভিন্ন গোষ্ঠীর থাকা নিয়ে এদিন অবশ্য জেলা সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে সবসময় দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলের নীতি এবং সিদ্ধান্ত মেনে দলীয় সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিনি মঞ্চে ছিলেন। অন্যদিকে তিনি এদিন তৃণমূলের অন্দরে গণতন্ত্রের প্রাধান্যের কথা বিশেষভাবে জানিয়েছেন। আর সেই সূত্রেই যে মত পার্থক্য ঘটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, সেকথাও তিনি জানাতে ভোলেননি। অন্যদিকে প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র জানিয়েছেন, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েই তিনি অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। লক্ষণীয়, স্বয়ং দলনেত্রী বারবার জানিয়েছেন দলের স্বার্থে সকলকে কাজ করতে হবে ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে।

প্রকাশ্যে যা কথা হবে, বাস্তবেও তাই মেনে চললে দলের উন্নতি হবে। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই কথাকেই এবার বাস্তব রূপ দিলেন গৌড়চন্দ্র মন্ডল ও সাবিত্রী মিত্র বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তা সামাল দিতে না পারলে কিন্তু আখেরে দলের ক্ষতি। যা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে বিপর্যয়ের মুখে দাঁড় করাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে সুবিধা পাবে বিরোধীরা। তবে মালদা জেলায় যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে দুই ভিন্ন গোষ্ঠীর নেতা-নেত্রী একই মঞ্চে এসে উপস্থিত হলেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট ইতিবাচক আলোচনা চলছে বলে জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!