এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলত্যাগী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বিজেপি প্রার্থী, কড়া আক্রমণ তৃণমূলের কল্যাণের!

দলত্যাগী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বিজেপি প্রার্থী, কড়া আক্রমণ তৃণমূলের কল্যাণের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সিগুরের প্রবীণ মাস্টারমশাই তিনি। দীর্ঘদিনের বিধায়ক তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের এবং তৃণমূল কংগ্রেস দলের অত্যন্ত প্রবীণ ব্যক্তি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তবে সিঙ্গুর থেকে তিনি চারবার জয়লাভ করলেও, এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় তার জায়গা হয়নি। যেখানে তার জায়গায় টিকিট পেয়েছেন একসময় তার ছাত্র বেচারাম মান্না এবং তার সহধর্মিণী।

স্বাভাবিকভাবেই একই পরিবার থেকে দুজন টিকিট পাওয়ায় কার্যত ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে কিছুদিন আগেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন প্রবীণ মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তবে বিজেপিতে নাম লেখালেও তিনি গেরুয়া শিবিরের হয়ে টিকিট পাবেন কিনা, তা নিয়ে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।

অবশেষে আজ বিজেপির প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন সেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। যেখানে সিঙ্গুর থেকে তাকে প্রার্থী করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে প্রার্থী করার সাথে সাথেই রীতিমত আক্রমণ ধেয়ে এল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।সূত্রের খবর, আজ বিজেপির পক্ষ থেকে সিঙ্গুরের প্রার্থী হিসেবে কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করা হয়।

আর তারপরেই কড়া ভাষায় বিজেপির গঠনতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন এই ব্যাপারে এই তৃণমূল নেতা বলেন, “মোদি কি পথভ্রষ্ট হয়ে গেলেন? মুরলী মনোহর যোশী, লালকৃষ্ণ আডবানীদের টিকিট দেননি। কেননা তাদের 75 বছরের বেশি বয়স হয়ে গিয়েছিল। আজকে তো 90 বছরের একটা লোক প্রার্থী হল। নরেন্দ্র মোদি বিজেপিকে জোকার করে দিল। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। যারা সাংসদ থেকে প্রার্থী হলেন, তাদের জন্য আবার নির্বাচন করতে হবে। আর বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা বাংলার মুখ নন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থ্যাৎ হেভিওয়েট এই তৃণমূল সাংসদ এই কথা বলে বিজেপির গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। পাশাপাশি বিজেপির পূর্বসূরিদের কথা বলে কার্যত নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, নরেন্দ্র মোদী বিজেপির দায়িত্বে আসার পর থেকেই দলের প্রথম সারির নেতাদের ডানা ছাটতে শুরু করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। এক্ষেত্রে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশীদের আর তেমন কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ একাংশের।

এমনকি কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলের অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা এই ব্যাপারে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন সেই নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। অতীতের বিজেপি আর এখনকার বিজেপি যে এক নেই, সেই ব্যাপারে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

আর এবারে বয়সের ভারে ন্যস্ত নেতাদের একসময় দায়িত্ব দেওয়া না হলেও, এখন কেন কিছুদিন আগেই 90 বছর বয়সী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলে যাওয়ার সাথে সাথেই তাকে টিকিট দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন করে গেরুয়া শিবিরকে কার্যত বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে গেরুয়া শিবির অনেকটাই অস্বস্তির মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!