এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘দমবন্ধ হয়ে আসছে’ প্রকাশ্যে জানিয়েও, মুছে ফেললেন হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক! বড়সড় ইঙ্গিত বিজেপির

‘দমবন্ধ হয়ে আসছে’ প্রকাশ্যে জানিয়েও, মুছে ফেললেন হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক! বড়সড় ইঙ্গিত বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচন প্রাক্কালে দলবদলের হিড়িক যেন খুব বেশি মাত্রায় চোখে পড়ছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল সদা ব্যস্ত, অন্য রাজনৈতিক দলের মধ্য থেকে নেতাকর্মী ভাঙিয়ে এনে নিজ দলের সদস্য বৃদ্ধি তথা সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে। বর্তমানে সাধারণও দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও বিজেপি রাজ্যে খুব শক্তিশালী থাকায়, তাদের মধ্যেই এই ধরনের প্রবণতা বড় বেশি মাত্রায় চোখে পড়ছে।

সপ্তাহখানেক ধরে লাগাতার বিজেপি থেকে তৃণমূলে দলবদলের হিড়িক দেখা গেছিলো, কিন্তু গত কিছুদিন ধরে তৃণমূল থেকে বিভিন্ন নেতাকর্মীকে বিজেপি ভুক্ত করে এর পাল্টা জবাব দিল বিজেপি। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বেশকিছু বিধায়ক তথা গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের প্রতি বিজেপির অনেকদিন থেকেই নজর আছে, সেটা ইতিপূর্বেও বিজেপি জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার জনৈক হেভিওয়েট বিধায়ক সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বিশেষ পোস্ট করে এই ব্যাপারটিকে বড় বেশি মাত্রায় উস্কে দিলেন।

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, মাত্র একদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জনৈক হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক ফেসবুকে তাঁর একই বিশেষ পোস্ট করেন। আর এই পোস্ট এ তিনি লিখেছেন, ” দম বন্ধ হয়ে আসছে, মন চাইছে মুক্ত আকাশে মুক্তি।” নির্বাচনের প্রাক্কালে উত্তর ২৪ পরগনার হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের এহেন মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে পড়েছে মুহূর্তে।

আর তার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় নানা চাপান উতর ও বিতর্কের পালা। রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায়, চায়ের কাপে তুফান তোলা। তবে কি তৃণমূলের এই প্রভাবশালী বিধায়ক এবারকি তৃণমূল ছাড়তে চলেছেন? আর তৃণমূল ছেড়ে তিনি কি যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে ? – এমন একাধিক প্রশ্ন নিয়ে সরগরম বাংলার রাজনীতি মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে তৃণমূল হেভিওয়েট বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে সম্প্রতি মন্তব্য করতে দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজেপি নেতৃত্বকে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, একমাত্র তিনিই নন সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা নেত্রী আছেন যাদের অবস্থা স্বাসরোধী রোগীর মতো।

অভিযোগ করেছেন তিনি, সমগ্র তৃণমূল দল বর্তমানে মাত্র মাত্র ২, ৩ জন নেতার আঙ্গুলি নির্দেশে চলছে। বাদবাকি নেতা-নেত্রীরা শুধু দলের শোভা বর্ধনকারী হিসেবে দলে স্থান করে আছেন। নিজেদের স্বাধীন মত প্রকাশ করতে না পেরে অনেকেই দম বন্ধ অবস্থায় আছেন। এ প্রসঙ্গে অভিযোগ, তৃণমূলে বর্তমানে অন্যায় দুর্নীতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, বহু মানুষ আছেন যারা দলের এই দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করতে পারছেন না, বা সাহস করে দল থেকে বেরোতে পারছেন না, তাদের অবস্থা অত্যন্ত করুন। উত্তর ২৪ পরগনার এই বিধায়কের মত বহু তৃণমূল নেতা-কর্মীর এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।

ফেসবুকে করা বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায় বিতর্ক। আর এই বিতর্ক ধামাচাপা দিতে শেষ পর্যন্ত এই হেভিওয়েট বিধায়ক নিজেই একটি সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বান করেছেন। এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, ” সারা পৃথিবী তথা ভারত জুড়ে এই করোনা পরিস্থিতিতে যে সমস্ত মানুষ এমন কি আমিও যে ঘরবন্দী অবস্থায় আছি, সব সময় মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে । এই দম বন্ধ অবস্থা থেকেই আমি মুক্তি পাওয়ার কথা বলেছিলাম। আমার মনে হয় আমরা সবাই এই দম বন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চাইছি। আমরা সবাই চাই পৃথিবী থেকে করোনা দূর হোক।”

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, পুনরায় তিনি পূর্বের মত উন্মুক্ত আকাশ তলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বাঁচতে চান। ফেসবুকে পোস্ট করা বিষয় সম্পর্কে তিনি দাবি করেছেন, এই পোস্ট এর মধ্যে কোন রাজনীতি বা কোনো বিতর্কের অবকাশ ছিল না, তবুও কিছু মানুষ যদি এটা নিয়ে বিতর্ক করে থাকেন সে বিষয়ে তাঁর কোন দায় নেই।

এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছেন, ” আমি আমার কথা বলেছি তবে আমার পোস্টটি কোন দলগত পোস্ট নয় বা কোন রাজনৈতিক পোস্ট নয়। ” শাসকদল প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নিজদলে তিনি বেশ সম্মানের সঙ্গে বিরাজ করছেন। তবে বর্তমানে তাঁর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে, এই কারণে দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন জনসমাগম থেকে নিজেকে দূরে রাখতে। আর দলের এই নির্দেশ তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালনও করছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!