বিরোধী মনোভাবাপন্ন হলেও করোনা রুখতে মমতা ব্যানার্জির প্রধান সেনাপতি ইনিই – জানুন বিস্তারিত কলকাতা রাজ্য April 23, 2020 নভেল করোনা ভাইরাস এর সঙ্গে যুদ্ধে আপাতত লড়াই চলছে সমগ্র দেশের। বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেও করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ইতিমধ্যেই। পরিস্থিতি ক্রমেই যে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে চলেছে। সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন প্রায় সবাই। মানুষকে ঘরে থাকার জন্য বারংবার আবেদন করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এবার করোনা পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ফেরানোর ভার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিলেন ডঃ অভিজিৎ চৌধুরীর হাতে। অভিজিৎ চৌধুরীর পরিচয়টা আগে জানা প্রয়োজন। বিখ্যাত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট হিসেবে পরিচিত ডঃ অভিজিৎ চৌধুরী। তার বাবা ছিলেন স্বনামধন্য বাম নেতা অরুণ চৌধুরী। সম্প্রতি বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্পে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে ডঃ অভিজিৎ চৌধুরী নিজেকে চিকিৎসক বলার থেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সরকারী চাকর কিংবা ডক্টর অ্যাক্টিভিস্ট বিশেষণে। ইতিমধ্যেই একজন এপিডোমিলোজিস্ট না হওয়া সত্বেও কিভাবে একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য শোধরানোর দায়িত্ব পেলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও অভিজিৎবাবু স্বয়ং এইসব আলোচনাকে পাত্তা দিতে রাজি নন। উপরন্তু তিনি উদাহরণ হিসেবে আইসিএমআর এর প্রধান যে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সে কথাও জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্যের হালকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফেরানোর জন্য এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের দেওয়া হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে তিনি গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - হটস্পট পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাসপাতালে সুপারদের সঙ্গেও তিনি আলোচনায় বসছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন বলে খবর। অভিজিত বাবু করোনা আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকদের কাজ চালাতে বলেন। পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অভিজিৎবাবু জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত যতজন আক্রান্ত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে তার মধ্যে 10 শতাংশ বেশি সংক্রামিত। তাই তাঁদেরকে নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে। কিন্তু অন্যান্যরাও সুস্থ হয়ে উঠছেন। এদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই মুহূর্তে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। পশ্চিমবঙ্গও সেই পরিস্থিতির বাইরে নেই। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে, লকডাউন এর নিয়ম বিধি শিকেয় তুলে বেশকিছু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। অনেক দোকান, বাজারে ভিড় দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে রাজ্যকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সতর্ক করলেও অবস্থার কিছু হেরফের ঘটেনি। তবে এবার হঠাৎ করেই রাজ্যের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজ্য সরকার কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি ব্যক্তি যাতে লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলেন তার দিকে কড়া নজর রাখতে হবে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা গেছে, রাস্তায় নেমে তিনি সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে চলেছেন করোনার ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে লকডাউন এর কি প্রয়োজন। আপনার মতামত জানান -