এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার ডাক্তার ছাত্রকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তৃণমূলের জুনিয়র ডাক্তার নেতার বিরুদ্ধে

এবার ডাক্তার ছাত্রকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তৃণমূলের জুনিয়র ডাক্তার নেতার বিরুদ্ধে


এবার যৌন হেনস্থায় নাম জড়ালো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে। আর যে ঘটনায় বর্তমানে তোলপাড় হয়ে উঠেছে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ। সূত্রের খবর, এই মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরি টেকনোলজি ডিপ্লোমা পাঠক্রমের প্রথম বর্ষের ছাত্রকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে সেখানকারই অ্যানাসথেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক রৌনক হাজারি ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।

নির্যাতিত ছাত্রর অভিযোগ, গত 10 তারিখ এই রৌনক হাজারি নিজের কোয়াটারে তাঁকে ডেকে পাঠান। আর তারপরই সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়। এদিকে কাউকে কিছু জানালে ভয় দেখানোর হুমকি দেওয়ার জন্য সেই নির্যাতিত ছাত্র প্রবল আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এমনকি পরবর্তীতে সেই রৌনক হাজারি ওই নির্যাতিত ছাত্রকে ফোন করে কুপ্রস্তাব দেন বলেও অভিযোগ।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ড: হাজারি শাসকদলের সংগঠনের সাথে যুক্ত। এদিকে ভয়ে প্রথমে কিছু বলতে না পারলেও পরবর্তীতে বেলঘড়িয়া থানা, স্বাস্থ্য দপ্তর, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সেই নির্যাতিত ছাত্র। এমনকি এইভাবে মেডিক্যাল কলেজের ভেতর ছাত্রকে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে এদিন সেই কলেজের ল্যাবরেটরি টেকনোলজি ডিপ্লোমা পাঠক্রমের ছাত্রছাত্রীরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভও দেখান।

এই ঘটনায় প্রবল চাপে পড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি শান্তনু সেন বলেন, “দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের আইএমএ সদস্য পদ বাতিল করা হবে।” একই কথা বলি দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রোগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি নির্মল মাজি।

এদিকে অধ্যক্ষের কাছে এই ব্যাপারে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাক্তার প্রদীপ মিত্র। তবে যার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ সেই চিকিৎসক রৌনক হাজারি অবশ্য এই ঘটনাকে ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন। এদিন তিনি বলেন, “সংগঠনের অনুষ্ঠানে ব্যানার, ফেস্টুন, নিতে কোয়াটারে ডেকে পাঠিয়েছিলাম ।ওই ছাত্র আমার কাছে কিছু অর্থ সাহায্য চেয়েছিল, আমি তা করতে পারিনি। তাই হয়ত হেনস্থা করতেই আমার বিরুদ্ধে এই সব মিথ্যে অভিযোগ আনছে।”

সব মিলিয়ে এবার এক ছাত্রকে যৌন হেনস্থায় শাসকদলের জুনিয়র ডাক্তার নেতার নাম জড়ানোয় তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!