এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দ্রুত বদলাচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির সমীকরণ! মমতার সংখ্যালঘু দুর্গে বড়সড় আঘাত ওয়েইসি-পীরজাদার

দ্রুত বদলাচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির সমীকরণ! মমতার সংখ্যালঘু দুর্গে বড়সড় আঘাত ওয়েইসি-পীরজাদার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ২০ টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৫ টি আসনে সাফল্যের পরেই যথেষ্ট উজ্জীবিত এআইএমআইএম। এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর থেকে বেশকিছু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে নেমে পড়েছে এআইএমআইএম। এই পরিস্থিতিতে ফুরফুরা শরীফের আব্বাস উদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে আজ বৈঠক করলেন আসাউদ্দিন ওয়েইসি।

সম্প্রতি দুদিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি। রাজ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি গিয়েছিলেন ফুরফুরা শরীফে। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করলেন আব্বাস উদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে। বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি জানিয়েছেন যে, ফুরফুরা শরীফের আব্বাসের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে তার দল মিম। আব্বাস সিদ্দিকীর পাশে থাকারও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি। যাকে কেন্দ্র করে জল্পনা বাড়ছে রাজ্যের রাজনীতিতে। আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে মিম জোটবদ্ধ হয়ে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে বাবা বসিয়ে রাজ্যের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে জল্পনা বাড়ছে।

বিহারের নির্বাচনে পাঁচটি আসনে জয়লাভের পরই পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন আসাউদ্দিন ওয়েইসি। কিন্তু এরপরেই পশ্চিমবঙ্গে ভেঙে যায় মিমের সংগঠন। এবার, আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে পথ চলার কথা ঘোষণা করলেন আসাউদ্দিন ওয়েইসি। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। ফুরফুরা শরীফের আব্বাস সিদ্দিকীকে সামনে রেখে লড়াইয়ের কথা জানালেন মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। অনেকে মনে করছেন, তাঁদের এই আলোচনার পর আব্বাস সিদ্দিকী নতুন করে কোন দল তৈরি না করে মিমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভোটে লড়াই করতে পারেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে লড়াই করার মত তেমন কোনো নির্ভরযোগ্য মুখ যেমন ওয়েইসির হাতে নেই, তেমনি আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে কোনো রাজনৈতিক দল নেই। তাই দুজনে জোট করে এক মিথোজীবী অবস্থানে যাবার চেষ্টা করতে পারেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিপূর্বে আসাউদ্দিন ওয়েইসি জানিয়েছিলেন যে, সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলায় তিনি প্রার্থী দিতে চলেছেন। কিন্তু এরপর তার সব সংগঠন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়। সংখ্যালঘু ভোট কেটে মিম পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সুবিধা করে দেবে, এই আশঙ্কায় বেশকিছু মিম নেতা-কর্মী চলে যান তৃণমূলে। এই পরিস্থিতিতে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে ওয়েইসির বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধী। সম্প্রতি শাসকদল তৃণমূলকে ধাক্কা দিতে নতুন দল গঠন করে অর্ধেক আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

এদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ফুরফুরা শরীফের একটা বিরাট প্রভাব আছে। সেই প্রভাবকে কাজে লাগাতে চাইছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এমনটা মনে করছেন অনেকে। বঙ্গসফর কালে আসাউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর একাধিক বৈঠক হতে পারে। যে বৈঠক থেকে তাদের জোট গঠনের ব্যাপারে চূড়ান্ত আলোচনা হতে পারে। অনেকেই মনে করছেন, আব্বাস সিদ্দিকী ও মিম যদি সংযুক্ত হতে পারে, তবে তবে সংখ্যালঘু ভোট কেটে যথেষ্ট বিপদে ফেলতে পারে শাসক দল তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম দলগুলিকে।

প্রসঙ্গত রাজ্যে ৩০% মানুষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভুক্ত। সংখ্যালঘু ভোটের অধিকাংশ এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের হাতে হয়েছে। এই ভোটব্যাংকে থাবা বসাতে পারে মিম। অন্যদিকে ৭০% হিন্দু ভোট সংগঠিত করে নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু ভোট আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রীর সাধের সংখ্যালঘু ভোটে যদি বড়োসড়ো ভাগ বসাতে পারে এআইএমআইএম, তবে, রাজ্যের শাসক দল যে যথেষ্ট বিপাকে পড়তে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!