এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দ্রুত পাল্টাচ্ছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ, জিটিএর ৮০০ জন অস্থায়ী কর্মী মোর্চা ছেড়ে তৃনমূলে!

দ্রুত পাল্টাচ্ছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ, জিটিএর ৮০০ জন অস্থায়ী কর্মী মোর্চা ছেড়ে তৃনমূলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ। দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার পর এনডিএ ত্যাগ করে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরার কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিমল গুরুং। আর এর পরেই দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় সামলানো বিনয় তামাং এবং তার অনুগামীরা ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছিলেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে কোনোভাবেই বিমল গুরুংকে তারা মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। যার ফলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর “আলোচনা সদর্থক হয়েছে” বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন বিনয় তামাং। মনে করা হয়েছিল, এবার হয়ত পাহাড়ের দখল তাদের হাতেই থাকবে।

কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা রয়েছে বিমল গুরুংয়ের মত হেভিওয়েট নেতাদের। তাই পাহাড়ের রাজনীতিতে জায়গা করে নিতে কলকাতায় বসেই বিজেপি থেকে দার্জিলিং পৌরসভার কাউন্সিলরকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ফিরিয়ে আনলেন বিমল গুরুং। অন্যদিকে এদিন জিটিএর 800 জন অস্থায়ী কর্মী মোর্চা ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। স্বাভাবিক ভাবেই এই জিটিএর দায়িত্বে রয়েছেন এখন বিনয় তামাং এবং তার অনুগামীরা।

আর এর ফলে একদিকে যেমন বিমল গুরুং দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে না থেকেও কলকাতায় বসে বিজেপি থেকে মোর্চাতে যোগদান করালেন, অন্যদিকে সেই বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেও বিনয় তামাংরা জিটিএয়ের সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান আটকাতে পারল না। যার ফলে পাহাড়ের মাটিতে আবার নতুন করে প্রশ্ন তৈরি হতে শুরু করেছে, তাহলে কি পাহাড়ে রাজনৈতিক প্রতিপত্তি সবথেকে বেশি বিমল গুরুংয়ের! আর তাই প্রকাশ্যে আসার পরেই এবার খেলা দেখাতে শুরু করলেন তিনি? যে খেলাতে কার্যত পিছনের সারিতে পড়ে গেলেন বিনয় তামাংরা!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন কালিম্পংয়ে 800 জন অস্থায়ী জিটিএ কর্মী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী। এদিন তিনি বলেন, “ওদের দাবি বহু পুরনো। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে ভাবছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী পাশে থাকতেই এই দলবদলের ঘটনা ঘটেছে।” একাংশ বলছেন, জিটিএ ছেড়ে এই বিপুল সদস্যের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের ফলে বিনয় তামাংয়ের নেতৃত্ব কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। যার ফলে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন বিমল গুরুংয়ের মত নেতারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমল গুরুং পাহাড়ের সক্রিয় হতে না হতেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিনয় তামাং এবং তার অনুগামীরা। তাদের দাবি ছিল, কোনোমতেই বিমল গুরুংকে জায়গা করে দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তারা এই ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা সমাধান হলেও বিমল গুরুং কলকাতায় বসে থেকেই যেভাবে বিজেপিতে চলে যাওয়া বেশকিছু কাউন্সিলরকে আবার নিজেদের দিকে টেনে আনলেন, তাতে তার রাজনৈতিক প্রভাব অনেকটাই বৃদ্ধি পেল। শুধু তাই নয়, তার বিরোধিতা করা বিনয় তামাংয়ের দিক থেকে যেভাবে 800 সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন, তাতে বিনয়বাবু এবং তার অনুগামীরা অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়লেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!