এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > দু ডোজ ভ্যাকসিন নিলেও কতটা রেহাই মিলবে করোনার হাত থেকে? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জানুন বিস্তারিত

দু ডোজ ভ্যাকসিন নিলেও কতটা রেহাই মিলবে করোনার হাত থেকে? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার যেভাবে বারবার মিউটেশন ঘটছে, যেভাবে একের পর এক সংক্রামক প্রজাতি তৈরি হতে শুরু করেছে, তাতে দু ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েও এর হাত থেকে কতটা রেহাই মিলবে? সে সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেশ কিছু চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত, যেভাবে করোনা ভাইরাসের বারবার গঠন বদলে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে দুটো ডোজ নিলেও বুস্টার ডোজ নেবার প্রয়োজন হতে পারে বলে, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ প্রসঙ্গে একাধিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, করোনা ভাইরাসের জিনের বিন্যাস সাজিয়ে যেভাবে ভ্যাকসিনের ফর্মুলা তৈরি করা হয়েছিল। এখন করোনার জিনের বিন্যাস অনেকটা বদলে ফেলেছে। সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনে কাজ হবে ঠিকই, তবে করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘসময়ের সুরক্ষা পেতে গেলে, বুস্টার ডোজ নেবার প্রয়োজন হবে। যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।

ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া হলে তা শরীরের ইমিউন কোষগুলোকে সক্রিয় করে দেবার চেষ্টা করে। সে ক্ষেত্রে বি কোষ, টি কোষ গুলি সক্রিয় হতে শুরু করে। দ্বিতীয় ডোজ নিলে এই কাজটি সম্পন্ন হয়। এরপর বি কোষ প্লাজমা অ্যান্টিবডি তৈরি করে, টি কোষ সংক্রামক কোষগুলিকে নষ্ট করে দিতে শুরু করে। যা করোনার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। কিন্তু এই সুরক্ষা কতদিন স্থায়ী থাকবে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এই অ্যান্টিবডি তিন মাসের বেশি স্থায়ী থাকে না। অনেকে বলছেন, এই অ্যান্টিবডি সাত মাসের বেশি স্থায়ী থাকে না। তাই অ্যান্টিবডি দীর্ঘদিন ধরে রাখতে হলে বুস্টার ডোজ নেবার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ভ্যাকসিন নেবার এক বছর যদি বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়, তবে শরীরে দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবডি থাকবে। তাই দীর্ঘদিন ধরে করোনার হাত থেকে সুরক্ষা মিলবে।

এ প্রসঙ্গে এইমসের প্রধান রনদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন যে, যেভাবে করোনার সুপার স্পেডার ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজে সুরক্ষা নাও মিলতে পারে। তৃতীয় ডোজ নেবার দরকার পড়বে। বুস্টার ডোজ এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বারবার মিউটেশন ঘটাচ্ছে, রূপ বদলাচ্ছে করোনা ভাইরাস। একসময় ব্রিটেন,দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছিল।

এর পরেই আবার ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ডেল্টা তৈরি হয়। যা ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর আবার মিউটেশন করে তৈরি হয়েছে ডেল্টা প্লাস। যার রয়েছে একাধিক উপপ্রজাতি। করোনার এত বেশি সংক্রমক প্রজাতি তৈরি হয়েছে যে,দুটি ডোজ পর্যাপ্ত নয়। এরপরও শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তৃতীয় বুস্টার ডোজ নেবার দরকার পড়বে। যা হবে সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যাকসিন বা বুস্টার শট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!