এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ, পৃথক ঘটনায় আউশগ্রামে বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে হামলা

দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ, পৃথক ঘটনায় আউশগ্রামে বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে হামলা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:  বর্তমানে রাজ্যের আইন শৃংখলার অবনতি হয়েছে – এই ঘটনাকে তুলে ধরেই বিরোধী দল বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেশি করে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর আক্রমণ এবং হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের বিভিন্ন নেতাকর্মী। আর এবার বীরভূমের দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে একটি বিস্ফোরণের শব্দে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে একটি বিস্ফোরণ হওয়ার শব্দ পান স্থানীয় মানুষজন। আর এরপরই রাতে বসন্ত ডোম নামে এক ব্যক্তিকে এই ঘটনার জন্য গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু হঠাৎ করে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে এইরকম বিস্ফোরণের শব্দ হল কেন? তাহলে কি তার বাড়িতে কোনরূপ বোমা বিস্ফোরণ মজুত করা ছিল! এখন তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই বিজেপি কর্মী নিজের বাড়িতে একটি ঢোলের মধ্যে বোমা মজুত করে রেখেছিল। কোনোভাবে তা ফেটে যায়।” যদিও বা তৃণমূলের তোলা অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে শুনেছি। বোমার কথা বলে বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে তৃণমূল।” আর এই গোটা ঘটনায় বিজেপি এবং তৃণমূলের তরজা এখন চরম আকার ধারণ করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিন আউসগ্রামের ওমরপুর গ্রামের বিজেপি নেত্রী শর্মিলা দাসের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার অভিযোগ, তৃণমূলের তিনজন মহিলা তার বাড়িতে এসে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আর তারপরই বাড়িতে ভাঙচুর চলে। তার সোনার গয়না, টাকা লুট করে নেওয়া হয়েছে। যদিও বা বিজেপি নেত্রীর তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে অমরপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোল্লা বলেন, “এসব মিথ্যা অভিযোগ। শর্মিলাদেবীর ছেলে আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। বিজেপি নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। আর সেই রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ার পাশাপাশি শাসক-বিরোধী দলের মধ্যে সংঘর্ষ এবং হানাহানির ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এদিন বীরভূমের বিভিন্ন অঞ্চলে যেভাবে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল, তাতে আইন-শৃঙ্খলা সঙ্কটের মুখে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!