দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভা করতে দেওয়া নিয়ে বাধার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে,কারণ জানালেন বাবুল জাতীয় বর্ধমান রাজ্য January 31, 2019 ফের রাজ্যে বিজেপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা তৃণমূলের। দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাকে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হল। শিল্পশহরে প্রধানমন্ত্রীর সভা যাতে না হয় তার জন্যে সম্পূর্ণ চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই অভিযোগে জানালেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। গতকাল দুপুরে আসানসোলে রেলের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে এসে সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বলেন,”সভায় সমর্থকদের নিয়ে আসার জন্য যে বাস ভাড়া করা হয়েছিল সেই বাস মালিকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বহু বাস মালিক বুকিংয়ের টাকা ভয় পেয়ে ফেরত দিয়ে যাচ্ছে।” লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই যেন রাজ্যে বিজেপির কর্মসূচিতে তৃণমূলের বাধাদানের আরো জোরদার হচ্ছে। বাংলায় বিজেপির রথ নামানোর ইচ্ছাকে তো ধূলিসাৎ করে দিল তৃণমূল। দীর্ঘ আইনি লড়াই করে শত চেষ্টা করেও বাংলার মাটিতে৷ রথযাত্রা করতে পারেনি বিজেপি। এরপরই একের পর এক গেরুয়াশিবিরের কর্মসূচিতে প্রশাসন যেনো গোজের কাঁটা হয়ে উঠেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় সভা করতে এসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসহযোগীতার আচরণই দফায় দফায় দেখে যাচ্ছে। গতকাল সেই কারণেই ফের একবার তোপ দেগে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বাবুল সুপ্রিয়। সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে তিনি বলেন,বিভিন্ন ছল-চাতুরি করে চারিদিক থেকে বিজেপির কর্মসূচি আটকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূ্ল। কারণ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জনপ্রিয়তা দেখে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। বাংলার মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সভাকে ঘিরে যে উদ্দীপনা,যে উন্মাদনা,সৃষ্টি হয়েছে সেটাই চাপে ফেলেছে শাসকদলকে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সভাকে বানচাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল। পাশাপাশি অভিযোগের সুর চড়িয়ে তিনি আরো জানান,সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসছে বাসবুক করার পরও বাস মালিকদের এমনভাবে ধমকানো হয়েছে যে তাঁরা টাকা ফেরত দিয়ে চলে যাচ্ছে। এরকম ১০-১২ টা ঘটনা কানে এসেছে বলেই জানান আসানসোলের সাংসদ। [content_block id=3910 কথা প্রসঙ্গে সদ্য কাঁথিতে অমিত শাহের সভার প্রেক্ষিতে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের বিষয়েও মুখ খোলেন বাবুল। ঘটনায় ১১ জন বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি বলেন,”আপনাদের কি মনে হয়, দলের সভাপতি যেখানে সভা করতে আসছেন, সেই সভা দেখতে না গিয়ে আমাদের ছেলেরা তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর করবে?” এরপর তিনি আরো জানান,প্রত্যেকেরই অধিকার রয়েছে নিজেকে বাঁচানোর। পুলিশের সাহায্য নিয়ে তৃণমূল যেভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয়েছিল সেদিন,সেই আক্রমণ থেকে বাঁচতেই বিজেপি কর্মীরা রুখে দাঁড়িয়েছিল। রাজ্যপুলিশ যখন একের পর এক মিথ্যা মামলায় বিজেপি কর্মীদের আটকে রাখছে,তখন মিটিংয়ে না গিয়ে বিজেপির ছেলেরা মারামারি করবে,এতোটা বোকা বিজেপি নয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সভা প্রসঙ্গে বাবুল বলেন,তৃণমূল যতোই বাধা দিক না কেন দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভা হবেই। রেকর্ড পরিমান ভীড়ও জমায়েত হবে সভায়। ২ ফেব্রুয়ারি গোটা দুর্গাপুর হাজির থাকবে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে। তবে সভায় কত লোক হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বললেন না তিনি। শুধু আশ্বাস দিলেন,বিজেপির সভায় লোক গোনার চেষ্টা বৃথা। অগুন্তি লোক আসবে প্রধানমন্ত্রীর সভায়। শতচেষ্টা করেই বাংলায় পদ্মফুল ফোটাকে আটকাতে পারবে না জোড়াফুল। আর নরেন্দ্র মোদীর সভায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার কোনো ক্ষমতাই নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের,এমনটাই বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির এই দাপুটে নেতা। আপনার মতামত জানান -