এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার উত্থানের ‘আঁতুড়ঘড়েই’ ২ বিধায়কের ‘কোন্দলে’ তৃণমূলের ঘুম উড়ছে? বিধানসভার আগে বাড়ছে চাপ?

মমতার উত্থানের ‘আঁতুড়ঘড়েই’ ২ বিধায়কের ‘কোন্দলে’ তৃণমূলের ঘুম উড়ছে? বিধানসভার আগে বাড়ছে চাপ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রাম তথা পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের, তখন সিঙ্গুরেও দুই বিধায়কের কোন্দলে শাসকদলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। একদিকে বেচারাম মান্না এবং অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, দুই নেতার মধ্যেকার দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি ব্লক সভাপতিকে সরানো নিয়ে সেই দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। যেখানে সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি তথা রবীন্দ্রনাথবাবুর অনুগামী মহাদেব দাসকে সরানোর পরেই এই প্রক্রিয়া নিয়ে সরব হন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।

অন্যদিকে পাল্টা বেচারাম মান্না নিজের ইস্তফা পত্র জমা দিতে উদ্যত হওয়ায় আরও অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। তবে তারপর বেচারাম মান্না অবশ্য রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করেই সমস্ত কাজ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বিদ্রোহ খামেনি। আর এই পরিস্থিতিতে দুই বিধায়কের কোন্দল যখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তখন এই শহরে তৃণমূলের সমস্ত কর্মসূচি থমকে আছে বলে অভিযোগ দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশের। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দুই বিধায়কের কোন্দলের কারণে যদি দলীয় কর্মসূচি থেমে থাকে, তাহলে কিভাবে তৃণমূল এখানে ভালো ফল করবে! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের দুধকুমার ধারা বলেন, “আমাদের সাংগঠনিক কাজকর্ম সমস্ত কিছু থমকে আছে। এখন বিষয়টির সমাধান হওয়া জরুরী। যখন একটি বিরুদ্ধ মত উঠে আসছে, তখন দুই বিধায়ক এবং সিঙ্গুর থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য এবং পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে দ্রুত বৈঠক ডাকা উচিত জেলা নেতৃত্বের। তাতে সমাধান হলে ভালো। আর তা না হলে সবাই মিলে ভোটাভুটি করা হোক। ভোটের রায় যার পক্ষে যাবে, তিনিই ব্লক সভাপতি হবেন। তাকেই সকলে মেনে নেবেন।”

অর্থাৎ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গোটা ব্যাপারটি সমাধানের কথা দলের একাংশ বললেও, তাতে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য বা বেচারাম মান্না আদৌ রাজি হবেন কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “কে ব্লক সভাপতি হবে, কিভাবে হবে, তা দলের ব্যাপার। আমি আমার বক্তব্য স্পষ্ট করে আগেই জানিয়েছি।” অর্থাৎ তিনি যে তার সিদ্ধান্ত থেকে একচুলও সরে আসবেন না, তা রবিবাবুর কথাতেই পরিস্কার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই ব্যাপারে বেচারাম মান্নাকে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে একসময়কার পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর সিঙ্গুরে যেভাবে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, তা সহজে মেটার নয় বলেই মনে করছেন একাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনকে দিন রাজ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে ঐক্য এবং সমন্বয় রক্ষা করতে না পারে, তাহলে তা তাদের কাছে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

যেভাবে সিঙ্গুরে দুই বিধায়কের গন্ডগোলের কারণে দলের সমস্ত কর্মসূচি আটকে আছে, তাতে বিরোধীরা এখানে বাড়তি মাইলেজ পেয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে তৃণমূল নিজেদের হিতের কথা চিন্তা করে এখন এই বিবাদকে মেটাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!