দুই বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক! মুখ খুললেন কুনাল ঘোষ! তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 24, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক হেভিওয়েট নেতারা যখন দলত্যাগ করছেন, তখন তৃণমূলের তরফ থেকে তাদের কটাক্ষ করতে ময়দানে নামছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। কিন্তু হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সেই কুণাল ঘোষকে নিয়ে জল্পনা চরম আকার ধারণ করতে শুরু করে। যেখানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে তিনি একটি হোটেলে গোপন বৈঠক করেছেন বলে নানা মহলের তরফে খবর আসতে শুরু করে। আর তারপরই রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গ রাজনীতিতে। যে কুণাল ঘোষের উপর ভরসা করে তৃণমূল তাকে ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়েছিল, এবার কি সেই কুনাল ঘোষ তাঁর জার্সি পরিবর্তন করতে চলেছেন! তা নিয়ে রীতিমত জল্পনা তৈরি হয়। তবে অবশেষে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে দিলেন তিনি। পাশাপাশি কি কারনে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎ হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করতেও দেখা গেল তাকে। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। যেখানে তিনি লেখেন, “মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের পদযাত্রা এবং জনসভা করে ফিরছিলাম। বারুইপুরের কাছাকাছি পথের ধারে একটি রেস্তোরাঁয় সহকর্মীদের নিয়ে দাঁড়াই। টি ব্রেক। শুনলাম, কিছু আগেই ওখান থেকে গেছেন বিশিষ্ট এক তৃণমূল নেতা। এর কিছুক্ষণ পর অন্য একটি জায়গায় সভা শেষে ফেরার পথে ওই রেস্তোরাঁয় ঢোকেন দুই বিজেপি নেতা। পুরনো পরিচিত। আলাদা দলে থাকলেও এইসব ক্ষেত্রে সৌজন্যে ছাড়া নিশ্চয়ই প্রকাশ্যে ঝগড়া হতে পারে না। দেখা হয়েছে। সৌজন্যের কথা হয়েছে। ওইটুকুই। এর মধ্যে কোনো পরিকল্পিত বৈঠকের গল্প বা রাজনৈতিক তাৎপর্য নেই। তারা বিজেপি। আমি তৃণমূল। কারওর গোপন বৈঠক করার থাকলে সে নিশ্চয়ই দলীয় সভা থেকে ফেরার সময় সর্বসমক্ষে প্রকাশ্য রেস্তোরাঁয় সেটা করবে না! ফলে যারা এ নিয়ে প্রবল চিন্তিত, তারা আপাতত ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থাৎ কুনাল ঘোষ একথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তাকে নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন. পাশাপাশি নিজের এই ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে সমালোচকদের আক্রমণ করতেও দেখা গেল তাকে।পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, নিঃসন্দেহে এখন কোনো তৃণমূল নেতার সঙ্গে কোনো বিজেপি নেতার সাক্ষাৎ দলবদলের জল্পনাকেই সবার প্রথমে তীব্র থেকে তীব্রতর করে তোলে। এক্ষেত্রে কুণাল ঘোষের মত তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা তথা প্রতিনিয়ত বিজেপিকে কটাক্ষ করা এই ব্যক্তির দুই বিজেপি নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ রীতিমত জল্পনাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, এবার কুনাল ঘোষ গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন। তবে তাকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হতে না হতেই গোটা পরিস্থিতিকে কার্যত সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র। তবে একাংশ বলছেন, অতীতেও বঙ্গ রাজনীতি এরকম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। যেখানে তৃণমূলের অনেক নেতা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা দলবদলের জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তার কিছু সময় পর সেই সমস্ত নেতাদের যোগদান করতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে। এক্ষেত্রে কুণাল ঘোষের সাথে এরকম কিছু হয়, নাকি নিজের করা ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে বাস্তবের মিল রাখেন এই তৃণমূল নেতা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -