এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুই শপথগ্রহণ দুই দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি আজ শপথ নিলেন বিজয়ী বিধায়করাও

দুই শপথগ্রহণ দুই দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি আজ শপথ নিলেন বিজয়ী বিধায়করাও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচনে মানুষ পরিবর্তন নয়, প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন আজ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যে এবার তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন হলেও প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে। নির্বাচনের রেজাল্ট বেরোনোর পর থেকেই দেখা যাচ্ছে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক আকারে হিংসা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক হিংসার দ্বারা বিজেপিকে আক্রমণ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতে রাজি হননি। তবে দিলীপ ঘোষকে দেখা গিয়েছে বিজেপির পার্টি অফিসে আরেক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে।

আজকে একদিকে যখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করছেন, ঠিক সেসময় বিজেপির নবনির্বাচিত বিধায়করা পার্টি অফিসে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষার নামে শপথ গ্রহণ করলেন। এবং এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। অন্যদিকে সকাল দশটা পঁয়তাল্লিশ মিনিট নাগাদ রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে শপথ পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা এবং প্রশান্ত কিশোর। রাজভবন থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী চলে যান নবান্নে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, বিজেপির নবনির্বাচিত বিধায়করা শপথ বাক্য পাঠ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে। রাজ্যে হিংসার প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্র রক্ষার শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণ করার পরেই নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের হিংসা বন্ধের প্রতিশ্রুতিসহ কড়া বার্তা দিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, হিংসা ছড়ালে কোনভাবেই ক্ষমা করা হবেনা। রাজ্যে হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্নভাবে মুখ খুলতে শুরু করেছে বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের বিজেপি নেতারাও এ রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছেন। যেমন অসমের বিজেপি মন্ত্রী হিমন্ত শর্মা দাবি করেছেন, রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়ে প্রায় 400 জন বিজেপি কর্মী আসামে আশ্রয় নিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভোট পরবর্তী সময়ে সমস্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে রাজ্য জুড়ে হয়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। যেকোনো মৃত্যুই সর্বদা দুঃখের।

তাই মুখ্যমন্ত্রী শাসনভার গ্রহণ করার পর পরিস্থিতি সামলাতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেটা দেখার। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে, রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা বেশ কিছু ক্ষেত্রে লাগাতারভাবে ইচ্ছাকৃত ভুয়ো খবর হিসেবে পেশ করা হচ্ছে। স্পষ্টতই রাজ্যে অশান্তি লাগাবার লক্ষ্যে রয়েছে একদল। সমস্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূল নেত্রী কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!