এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুপুর গড়াতেই অশান্তির আগুন বেড়ে উঠল নন্দীগ্রামে, পরিস্থিতি বুঝে নিতে সোজা বুথের ভিতরে মমতা ব্যানার্জ্জী

দুপুর গড়াতেই অশান্তির আগুন বেড়ে উঠল নন্দীগ্রামে, পরিস্থিতি বুঝে নিতে সোজা বুথের ভিতরে মমতা ব্যানার্জ্জী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে কার্যত সারাদেশের নজর টিকে রয়েছে নন্দীগ্রামের ওপর। রাজ্য জুড়ে চলছে আজ 30 টি আসনের দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। আর তার মধ্যে অন্যতম হলো নন্দীগ্রাম আর এই নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম জুড়ে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। সারাদিন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী বাড়িতেই ছিলেন। দুপুর গড়াতেই তিনি বুথ পরিদর্শনে বেরিয়েছেন। আর তাতেই নন্দীগ্রামের পরিবেশ মুহূর্তের মধ্যে বদলে গেল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুরে পৌঁছালেন নন্দীগ্রামের বয়ালের দুই নম্বর বুথে।

প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই খবর পাওয়া যাচ্ছিলো এই বুথে ব্যাপকভাবে অশান্তি চলছে। স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে বয়াল ২ এর নাম আগেই এসেছিল। কার্যত, যারা অশান্তির ভয়ে নন্দীগ্রামে ভোট দিতে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় বেরোনো মাত্রই নিজেরাও ভোট দেওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লেন। দুপুরের পর নন্দীগ্রামের বয়াল 2 এলাকায় অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে পৌঁছাতেই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে একেরপর এক অভিযোগ তুলে ধরেন। নিরাপত্তার স্বার্থে বুথের ভেতর নিয়ে গিয়ে বসানো হয় তৃণমূল সুপ্রিমোকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই তিনি প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে সবিস্তারে কথা বলে পরিস্থিতি বুঝে নিয়ে সোজা ফোন করেন রাজ্যপালকে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী যখন সাত নম্বর বুথে বসে রয়েছেন, ঠিক সেইসময় বুথের বাইরে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হলো বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে। খবর আসে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। তিনি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনি কমিশনের কাছে যাবেন। প্রয়োজনে আদালতেও যাবেন। মূলত এই হুঁশিয়ারি যে গেরুয়া শিবিরের জন্য, সে কথা বুঝতে বাকি থাকে না কারোর।

অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, জায়গায় জায়গায় গন্ডগোল হলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কমিশনের ক্ষমতা নিয়ে। কারণ কমিশনের পক্ষ থেকেই এবারের নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট করার কথা বলা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে গত রাত থেকে নন্দীগ্রামকে নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে। নজিরবিহীন কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত রয়েছে এলাকায়। তারপরেও এরকম ঘটনা কি করে ঘটছে একাধিক জায়গায়, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!