এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে মহুয়া মৈত্রের? বড়সড় পদক্ষেপে চূড়ান্ত জল্পনা শুরু শাসকদলের অন্দরেই

দলের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে মহুয়া মৈত্রের? বড়সড় পদক্ষেপে চূড়ান্ত জল্পনা শুরু শাসকদলের অন্দরেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –একসময় দলের অত্যন্ত গুডবুকে ছিলেন তিনি। এখনও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিককালে দলের নানা পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে তার ভিডিও বার্তা তৃণমূলকে ক্রমশ অস্বস্থিতে ফেলেছে। প্রকাশ্যে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই ধরনের মন্তব্য কেন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের একাংশ। আর দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব পদে থাকা সত্ত্বেও, এবার সেই মহুয়া মৈত্রকে বাদ দিয়েই কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃনমূলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হল।

সূত্রের খবর, রবিবার রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে জেলার সমস্ত বিধায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে একটি বৈঠক ডাকেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। কিন্তু সেই বৈঠকে কার্যত অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। যাকে কেন্দ্র করে এখন তৃণমূলে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে।

হঠাৎ করেই কেন মহুয়া মৈত্র গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত হলেন না, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর এখানেই একাংশ বলছেন, তাহলে কি মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে? আর তাই কৃষ্ণনগরের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়া সত্ত্বেও তিনি সেখানে উপস্থিত হলেন না?

অনেকে বলছেন মহুয়া মৈত্র সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দলের অনেক পুরনো নেতাদের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে একাধিক নেতা তার বিরুদ্ধে রাজ্যের কাছে অভিযোগ জানান শুধু তাই নয় অনেক জায়গায় কমিটি গঠন করে পুরো নেতাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে মহুয়া মৈত্র বিরুদ্ধে তাই এই পরিস্থিতিতে তার সঙ্গে যখন দলের একাংশের বিরোধী হয়েছে ঠিক তখনই তাকে বাদ দিয়েই বৈঠক রীতিমতো তৈরি করেছে কৃষ্ণনগরে। কেন এই বৈঠকে মহুয়া মৈত্র আসলেন না?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “জেলার বিধায়কের পাশাপাশি সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল।মহুয়া মৈত্রকে আসতে বলা হয়েছিল। তিনি কেন আসেননি, বলতে পারব না। সম্ভবত করিমপুরে কোনো কর্মসূচিতে ছিলেন।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নদীয়ায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উজ্জ্বল বিশ্বাসের নেতৃত্বে এই কমিটি করা হয়েছে। জেলা কমিটির বিষয় নয় বলে তাদের কাউকে ডাকা হয়নি। মহুয়া মৈত্র একটি পারিবারিক কারণে আসতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন।”

যদিও বা এই ব্যাপারে মহুয়া মৈত্রকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলের একাধিক পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ভিডিও বার্তায় সরব হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। যার ফলে দলের একাংশ তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছিল। এছাড়াও প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা সহ একাধিক কারণে মহুয়া মৈত্র অনেকেরই চোখে খুব একটা ভাল নজরে ছিলেন না।

আর তাই কি এবার দলের সঙ্গে দূরত্বের জন্য ধীরে ধীরে বৈঠকেও আসা বন্ধ করে দিলেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভানেত্রী! তা নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!