এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনাতে বদলাচ্ছে বহু নিয়ম! কবে থেকে দেখতে পাবেন পুজো? কিকি নিয়ম না মানলে পাবেন না দর্শন?

করোনাতে বদলাচ্ছে বহু নিয়ম! কবে থেকে দেখতে পাবেন পুজো? কিকি নিয়ম না মানলে পাবেন না দর্শন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মা আসতে আর বেশি দেরি নেই। তাই পুজো নিয়ে চারিদিকে সাজসাজ রব শুরু হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে এবছর করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে সরকারি তরফে পূজা সম্পর্কিত অনেক রকম নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল আগেই। সেখানে মাস্ক থেকে শুরু করে স্যানিটাইজার সমস্ত রকম সর্তকতা অবলম্বন করে তবেই পুজো করা যাবে এমনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তাই এবারের পুজোয় করোনা প্রভাব যে একটু অন্যরকমভাবে পড়বে সে কথা জানতেন সকলেই। ইতিমধ্যেই কেমন ভাবে উপভোগ করবেন পুজোর ক’দিন, সেই নিয়ে নিশ্চয়ই প্ল্যান তৈরি করে ফেলেছেন পুজো প্রেমী বাঙালি। আর সেখানে কি বলছে সরকারি নির্দেশিকা, জানতে চোখ রাখুন এখানে।

পুজো উদ্বোধন থেকে ঠাকুর দেখা:- করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে এবার পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যথাসম্ভব অনলাইনেই করতে বলা হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে পুজো উপলক্ষে কোনও মেলা বা উৎসবের আয়োজন করা যাবে না। এমনকি, এ বার কোনও রকম কার্নিভ্যাল-ও হবে না বলেই জানা গেছে। বস্তুত ভিড় এড়াতেই এমন পরিকল্পনা বলেই মনে করা হচ্ছে।

সেই সঙ্গে জানা গেছে, অন্যান্য বারের মতো এ বারও পুজো দেখা যাবে তৃতীয়া থেকে। কলকাতা পুলিশকে ওই দিন থেকেই প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে তৃতীয়ার আগের দু’টি দিন যেহেতু শনি ও রবিবার পড়েছে, তাই ওই দু’দিনও মানুষ পুজো দেখতে বেরোলে পুলিশ কী ব্যবস্থা নেবে তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অঞ্জলী থেকে সিন্দুরখেলা :- এখানে প্রথমেই বলে রাখা দরকার মাস্ক ছাড়া কোনো প্যান্ডেলে আসা নিয়ম বিরুদ্ধ বলা হয়েছে। তবুও যদি কোনও দর্শক মাস্ক ছাড়া প্যান্ডেলে আসেন, তা হলে পুজোর উদ্যোক্তাদের তরফেই তাঁকে মাস্ক দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে পুরোহিতদের মাইক্রোফোনের ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে।

বস্তুত যাতে ভিড় এড়িয়ে দূর থেকে মন্ত্র পড়লে সকলে শুনতে পান, সেই প্রচেষ্টাতেই এই কাজ। একই সঙ্গে সিঁদুরখেলার সময়েও দূরত্ব-বিধি মানতে হবে বলে জানান হয়েছে। তবে এই নিয়ম দর্শক থেকে শুরু করে পুজোর উদ্যোক্তাদেরও সকলকেই মানতে হবে বলে জানান হয়েছে। সে জন্য অন্যান্য বারের থেকে বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকও নিয়োগ করতে বলা হয়েছে।

মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বিসর্জন:- প্রথমত কাউকেই প্রতিমা বা প্যান্ডেল ছুঁয়ে দেখা যাবে না বলেই জানা গেছে। এছাড়া, পুজো মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর জন্যও খোলামেলা এবং আলাদা রাস্তা রাখতে বলা হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বড় পুজোর উদ্যোক্তাদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে মণ্ডপের প্রবেশপথে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে গোল দাগ এঁকে দিতেও বলা হয়েছে।

দর্শকেরা যাতে সেই অনুযায়ী ভিতরে ঢুকতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সোজা গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যেতে হবে বলেও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তার জন্য চারটি দিন নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেগুলি হল যথাক্রমে ২৬ থেকে ২৯শে অক্টোবর। এই চার দিন প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে বলে জানান হয়েছে।

যদিও করোনা সতর্কতায় পর্যাপ্ত স্যানিটাইজ়ার রাখা মানে মণ্ডপের ভিতরে দাহ্য পদার্থ রেখে দেওয়া, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। সে বিষয়ে হাতিবাগানের এক পুজোর উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে, তাঁদের মণ্ডপে একাধিক প্রবেশপথ থাকছে। এছাড়া সেখানেই স্বেচ্ছাসেবকেরা ফেস শিল্ড পরে হাতে স্যানিটাইজ়ার দেবেন। ফলে মণ্ডপের ভিতরে দাহ্য বস্তু রাখতে হবে না।

তাছাড়া ভিড় সামলাতে একটি বড় লাইন ভেঙে ছোট ছোট লাইনও করে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তা হলে মণ্ডপে এক জন করে ঢুকতে পারবেন। অন্যদিকে সারা দিনই যাতে লোক ঠাকুর দেখতে পারেন আর সেই সুবাদে যাতে ভিড়টাও সারা দিনে ভাগ হয়ে যায়, তাই অনেক পুজো উদ্যোক্তাই এবার আলোকসজ্জায় দৃষ্টি-আকর্ষণী কিছু করছেন না বলেই জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!