পুজোতে মেতে উঠবে না বঙ্গবাসী, তা কি কখনও হয়? জারি নতুন নির্দেশিকা, জেনে নিন! কলকাতা রাজ্য July 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –হাতে আর মাত্র 98 দিন বাকি। তারপরেই বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব এসে উপস্থিত হবে দোরগোড়ায়। তবে যেভাবে করোনা ভাইরাস তার দাপট চালাতে শুরু করেছে, তাতে আদৌ জাঁকজমকভাবে দুর্গা পুজো হবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে বড় সংশয়। কেননা সামাজিক দূরত্ব করোনা ভাইরাসকে আটকানোর প্রধান নিয়ম। সেদিক থেকে দুর্গাপূজোর সময় মানুষ বাইরে বেরোবেন। আর তার ফলে আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে গোটা পরিস্থিতি। তাই এমতাবস্তায় প্রত্যেক পুজো কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে দর্শনার্থী সকলেই কার্যত আশা ছেড়ে দিয়েছেন যে, এবার হয়ত সেভাবে দুর্গাপুজো হবে না। কিন্তু বছরের চারটে দিন ঘরের মেয়ে উমা বাড়িতে আসেন। আর তার পুজোতে মেতে উঠবে না বঙ্গবাসী, তা কি কখনও হয়? জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার দুর্গা পুজোপালন করতে চোদ্দদফা নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। যেখানে প্রশাসনের কাছে এই নির্দেশিকাগুলি ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কি রয়েছে এই নির্দেশিকায়? জানা গেছে, মন্ডপ ও প্রতিমার উচ্চতা খুব একটা বেশি করতে বারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি একসাথে যাতে অনেক বেশি লোক সমাগম না হয়, তার জন্য মন্ডলের বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দর্শনার্থীদের সুরক্ষার জন্য প্রত্যেকের মুখে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলা হয়েছে। প্রতি মন্ডপের প্রবেশদ্বারের কাছে থার্মাল জ্ঞান এবং গায়ে জ্বর থাকলে কোনভাবেই মণ্ডপে প্রবেশ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে সেই প্রস্তাবে। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব যাতে লক্ষ্য করা যায়, তার জন্য 25 জনের বেশি একসাথে কোনোভাবেই মন্ডপের ভেতর ঢোকা যাবে না। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, পুষ্পাঞ্জলী, সন্ধিপূজা এবং আরতির সময় যেন সকলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এছাড়াও কাটাফল কোনভাবেই প্রসাদে রাখা যাবে না বলে প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থাৎ দুর্গাপুজো ঠিকভাবে পালন হবে কিনা, তা নিয়ে যখন সংশয় চলছে বঙ্গবাসীর মধ্যে, ঠিক তখনই মানুষকে আশ্বস্ত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলার শারদোৎসব পালনের জন্য প্রশাসনের কাছে পৌঁছে গেল প্রস্তাব। আর এটাতে কিছুটা হলেও খুশি বাংলার মানুষ। হ্যাঁ, হয়ত বা এবার করোনার কারণে তাদের আনন্দে কিছুটা হলেও ছেদ পড়বে। কিন্তু যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত মানুষ যদি দুর্গাপুজোতেও একটু বাইরে বের হতে না পারেন, তাহলে তারা আরও হতাশ হয়ে পড়বেন। তাই এই পরিস্থিতিতে কি করে করোনা ভাইরাস না বাড়ে এবং মানুষ পুজোয় সামিল হতে পারেন, তার জন্যই প্রশাসনের কাছে স্বাস্থ্যবিধিকে মান্যতা দিয়ে এই প্রস্তাব পৌঁছে গেল। এদিন এই প্রসঙ্গে দুর্গোৎসব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, “পুরোটাই প্রস্তাবের আকারে মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। পুজো কমিটিগুলোকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।” তবে বাংলা মানুষ দুর্গাপূজাকে শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে ধরেন। তাই প্রশাসনের কাছে নির্দেশিকা আসলেও, শেষ পর্যন্ত প্রশাসন কি সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ এত সব নিয়ম মেনে চলেন কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -