এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুর্গাপুজোতেই ঘুরিয়ে প্রচারে জোর বিজেপির, পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় তৃণমূলও

দুর্গাপুজোতেই ঘুরিয়ে প্রচারে জোর বিজেপির, পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় তৃণমূলও

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের রাজনৈতিক উত্থান-পতন দেখেছে গোটা রাজ্যবাসী। আর এবার বাংলা ও বাঙালির প্রিয় উৎসব শারদোৎসবকে পাখির চোখ করে জনসংযোগের দিকে নজর দিতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধীদল বিজেপি। জানা গেছে, বাঙালির ভাবাবেগকে উসকে দিতে এবার দুর্গোৎসবকে পাখির চোখ করে প্রত্যেক পুজো প্যান্ডেলে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে ব্যস্ত থাকবেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক পুজো প্যান্ডেলে একটি করে বুক স্টল এবং জনসত্রের ব্যবস্থা করতে হবে। আর রাজ্যের সেই নির্দেশ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে নদীয়া জেলাতে।

অন্যদিকে বিজেপি এই ধরনের উদ্যোগ নিলেও পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। জানা গেছে, এবার ভিভিআইপি ইমেজ ছেড়ে পুজোর দিনগুলিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের জনসংযোগে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। পাশাপাশি বইয়ের স্টল এবং হেল্পডেক্স করার কথাও বলা হয়েছে। বস্তুত, কিছুদিন আগেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাংলায় আসন্ন শারদোৎসব নিয়ে একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, দুর্গাপূজার সময় এবারে আর কারোর বাইরে ছুটি কাটাতে যাওয়া হবে না। বরঞ্চ এলাকায় যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে পুজো কাটাবেন। এমনকি কোনো পুজো মণ্ডপের ভেতরে যাতে পুজোর দিনে রাজনীতির কচকচানি না থাকে, তার জন্য দলীয় প্রতীক এবং ফেস্টুন না রাখার ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছিলেন দলনেত্রী।

আর তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই নির্দেশ জেলায় পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই নদীয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হিসেবে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানকার সমস্ত তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের এই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই জনপ্রতিনিধিদের কাছে মৌখিক নির্দেশ গিয়েছে। আমরা লিখিত নির্দেশ কয়েকদিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেব। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছি, অনুগামীদের ভিড় না বাড়িয়ে জনপ্রতিনিধিদের পূজার দিনগুলোতে মানুষের মধ্যে মিশে যেতে হবে। নিরাপত্তারক্ষীদের বাড়াবাড়িও যাতে খুব একটা বেশি না থাকে, সেই ব্যাপারেও বলা হচ্ছে। বইয়ের স্টল, হেল্পডেস্ক করতে বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কোনো অভাব অভিযোগ থাকলে, তা যাতে সকলে মন দিয়ে শোনেন, সেটারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকলেই দলের এই নির্দেশ মেনে চলবেন বলে আমরা আশাবাদী।”

অন্যদিকে তৃণমূল এই ধরনের উদ্যোগ নিলেও তাতে বিজেপি পিছিয়ে থাকবে, তা কি হয়! তাই পাল্টা বিজেপিও পুজোয় জনসংযোগ কর্মসূচি করতে নিজেদের ঘুটি সাজাতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, “বুক স্টলের মাধ্যমে যেমন আমরা প্রচার চালাব, ঠিক তেমনি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়েও প্রচার করা হবে।” এদিন এই প্রসঙ্গে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “এবার পুজোয় জনসংযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে‌। আমরা জলসত্র করব। বস্ত্রদান এবং এরকম আরও বেশ কিছু কর্মসূচি থাকছে। এর পাশাপাশি বেশকিছু প্রকল্প বা সাফল্যের বিষয়েও প্রচার চালানো হবে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দুর্গাপুজো বাঙালির মনের ও প্রাণের উৎসব। আর তাই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ভালো ফলাফল করার পর বিধানসভা নির্বাচনে তারা ভালো ফলাফল করতে এখন দুর্গাপুজোকেই পাখির চোখ করে যেমন জনসংযোগ করতে আগ্রহী গেরুয়া শিবির, ঠিক তেমনই পাল্টা বিজেপিকে মাত দিয়ে তারা বাংলার মানুষের সাথেই রয়েছে বলে তৃণমূলও সেই জনসংযোগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছে। সবমিলিয়ে মা দুর্গার বন্দনায় এখন কোন দল জনসংযোগে একে অপরকে টেক্কা দেয়! সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!