এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পুজোর মরসুমে এবারও অন্ধকারই থাকবে দাশমুন্সি পরিবারের আঙিনা! হতাশ দলীয় কর্মী থেকে এলাকাবাসী

পুজোর মরসুমে এবারও অন্ধকারই থাকবে দাশমুন্সি পরিবারের আঙিনা! হতাশ দলীয় কর্মী থেকে এলাকাবাসী


সারা রাজ্যে যখন শারদ উৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দ ঝরে পড়ছে, ঠিক তখনই যেন কিছুটা মুখ ভার কালিয়াগঞ্জের শ্রী কলোনির বাসিন্দাদের। কারণ এবারও এই শ্রী কলোনির দাশমুন্সি পরিবারে দুর্গা পূজো হচ্ছে না। অনেকে বলছেন, একটা সময় ছিল, যখন পুজোর সময় এই দাশমুন্সি পরিবারেই সমাজের সমস্ত বিশিষ্টজনদের ভিড় দেখা যেত। কিন্তু এখন প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির বাড়িতে যেন পুজোর সময় শ্মশানের নীরবতা লক্ষ্য করা যায়।

যার জন্য এখন এলাকাবাসী থেকে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা সকলেই অত্যন্ত মনমরা। পুরনো স্মৃতিকে মনে পড়ে মাঝে মধ্যেই তাদের মনে বিষাদের ছায়া ভেসে আসতে শুরু করেছে। অতীতে এই দাশমুন্সি পরিবারে পুজোর সময় চারদিনই যেন চাঁদের হাট দেখা যেত। শুধু পুজো নয়, গরীব দুস্থ সাধারণ মানুষ, স্থানীয় ছোট-বড় নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে ভিআইপি ব্যক্তিত্বরা, পুজোর কটা দিন এই দাশমুন্সি পরিবারের দালানেই তাদের আনন্দ-উৎসব ভাগ করে নিতেন। কিন্তু এখন সেই দালান থাকলেও পুজো আর হয় না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ যাকে ঘিরে এতকিছু, সেই প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি আজ আর বেঁচে নেই। তাই সেভাবে পুজোও নেই, আছে শুধুই অতীতের কিছু স্মৃতি আর বুকভরা আবেগ। দাশমুন্সি বাড়ির কেয়ারটেকার জয়দেব চন্দ্র বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এখন আর এই বাড়িতে পুজো হয় না। তবে একসময় এলাকায় দেশ ও রাজ্যের ভিআইপি সেলিব্রিটি নেতাকর্মীদের ভিড়ে ছয়লাপ হত এই বাড়ি। তবে এখন আর কোনো জৌলুস নেই!”

স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বক্তব্য, “পুজোর সময় এই বাড়ি ছিল মানুষের কাছে উৎসব। বর্তমানে নানা জায়গায় পুজো হলেও মানুষ আজও প্রিয়দার বাড়ির পুজোকে মিস করে। পুজোর কটা দিন গমগম করা বাড়িতে আজ শ্মশানের নিস্তব্ধতা। মালিক নেই। তাই বসার চেয়ারে পড়েছে ধুলোর আস্তরণ। একসময় পুজোর দিনে আলোয় ভরা মণ্ডপের সামনে ঢাক বাজানো থেকে শুরু করে স্ত্রীকে নিয়ে ধুনুচি হাতে আরতী করতে দেখা যেত প্রিয়দাকে। তিনি নিজের হাতে প্রতিবছর মহালয়ায় দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করতেন। কিন্তু এখন সেসব কিছুই অতীত।”

জানা গেছে, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি প্রয়াত হওয়ার পর থেকেই ছেলে মিছিলের পড়াশুনা এবং নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে দিল্লিতেই ব্যস্ত থাকেন দীপা দাশমুন্সি। ফলে সেদিক থেকে পুজোর সময় আর আলাদা করে বাড়ি আসা হয় না তার। আর তাই ঠাকুরদালান পড়ে থাকলেও প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির বাড়ির পুজো এখন অতীত। যার জন্য পুজোর সময় সেই দাশমুন্সি পরিবারের পুজো না হওয়ায় শূন্যতা অনুভব করে শ্রীকলোনির বাসিন্দারা। একই সঙ্গে মনমরা একদা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিকে দেশের মন্ত্রী করা তাঁর প্রিয় কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরাও!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!