প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। ততোই রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ, বোমাবাজি, খুনোখুনির ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সপ্তমীর রাতে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছিল ভাটপাড়ার জনৈক বিজেপি কর্মী বীরেন্দ্র সাউকে। গত শনিবার রাতে নদীয়ার কল্যাণীর একটি হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো ভাটপাড়া এলাকায়। বিজেপি এই ঘটনার জণ্য অভিযুক্ত করেছে তৃণমূলকে। বিজেপির অভিযোগ, বিজেপি করার কারণেই বীরেন্দ্র সাউ এর উপরে হামলা চালায় তৃণমূলের দুস্কৃতিকারীরা। তবে, তাদের উপরে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে অস্কীকার করেছে তৃণমূল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, ভাটপাড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাঁকিনাড়ার ১১ নম্বর গলি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বীরেন্দ্র সাউ। ৪৫ বছর বয়স্ক বীরেন্দ্র সাউ বেশ কিছুদিন আগেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। সপ্তমীর রাতে নিজের বাড়ির সামনে বসেছিলেন তিনি। এ সময় সেস্থলে হঠাৎ উপস্থিত হয় কিছু দুষ্কৃতী। অভিযোগ উঠেছে যে, দুষ্কৃতীরা প্রচণ্ড মারধর করেছে বীরেন্দ্র সাউকে। বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তাঁর মাথায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কল্যাণীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই গত শনিবার রাতে তার মৃত্যু ঘটেছে।

তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, শুধুমাত্র বিজেপি করার কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে এমন মারধর করেছে। ভাটপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাটাপাড়া থানার পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।বিজেপি এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছে তৃণমূলকে।

ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংহ এই ঘটনা সম্পর্কে জানালেন যে, রাজনৈতিক লড়াইয়ে টিকতে না পেরেই খুনের রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। তাঁর দাবি, মানুষ সবকিছুই দেখছে। ঠিক সময় তাঁরা ঠিক জবাব দেবেন। অন্যদিকে, এ প্র্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের ওপর ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। আবার এ প্রসঙ্গে ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যাম জানালেন যে, বিজেপি সম্প্রতি সবকিছুর মধ্যেই রাজনীতি দেখছে। তাঁর দাবি কারো সঙ্গে বীরেন্দ্র সাউ এর পুরনো শত্রুতা ছিল বলেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপি মৃত ব্যক্তিকে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। এভাবেই আবার উত্তপ্ত হলো ভাটপাড়া।