এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্গতদের ত্রাণ বিলি নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব তৃণমূলের অন্দরে! বিধানসভার আগে ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি

দুর্গতদের ত্রাণ বিলি নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব তৃণমূলের অন্দরে! বিধানসভার আগে ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছু দিন আগে প্রবল বর্ষণে হুগলি জেলার খানাকুল ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। বহু মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত এই বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে রাজ্য সরকার এগিয়ে আসে। ত্রাণ বণ্টনের শুরু হয়। কিন্তু এই ত্রাণ বণ্টন বিষয়েই বেশ কিছু অভিযোগ শুরু হয়েছে শাসকদলের অন্তরেই।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ই সেপ্টেম্বর এই অঞ্চলে ত্রাণ বণ্টনের জন্য সরকারের তরফ থেকে এক লক্ষ ‘ক্যানড ফুড পাঠানো হয়েছিল। গত ৫ ই সেপ্টেম্বর শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, আরামবাগের মহকুমাশাসক নৃপেন্দ্র সিংহ ও বেশ কিছু ব্লক আধিকারিকেরা এই এলাকাগুলিতে ত্রাণ বণ্টনের কাজ সংগঠিত করেছিলেন। আবার গত ১০ ই সেপ্টেম্বর আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরুপা পোদ্দার এই এলাকার উপদ্রুত অঞ্চলগুলিতে বিস্কুট, ত্রিপল ও কিছু জিনিস দুর্গত মানুষদের বিলি করেছিলেন।

তৃণমূল দলের একাংশের অভিযোগ, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে ত্রাণ দানের ব্যবস্থা করবেন, সে কথা দলের অন্তর থেকে তাদেরকে জানানো হয়নি। এমনকি আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরুপা পোদ্দারের ত্রাণ বিলির কথাও জানানো হয়নি তাদের।

এরসঙ্গেই অভিযোগ উঠেছে গত ৫ ই সেপ্টেম্বর তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিশিষ্টরা অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার বিলি করেছেন। মাড়োখানা, জগতপুর, রাজহাটি ১ পঞ্চায়েত এলাকার বেশকিছু তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেছেন যে, এই খাবার ছিল পচা ও পোকাধরা। তাঁরা কৌটো খুলেও দেখান সেই খাবার। মাড়োখানা পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামের জনৈক তৃণমূল নেতা সমর সামন্ত কিছু কৌটা থেকে রাস্তার ধারে খাবার ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ করেন। এ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ” কল্যাণবাবুর এখানে আসার দরকার কী ছিল? তিনি দলে ভাগ করছেন। ক’দিন পরেই আবার অপরূপা পোদ্দার ত্রাণ নিয়ে হাজির হলেন। এ বার বৃষ্টির জলে সামান্য কিছু মাঠ ডুবেছে। তাতেই এই ত্রাণ দেওয়ার প্রতিযোগিতায় হিতে বিপরীত হচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য নজিবুল করিম বলেছেন, ” কল্যাণবাবু যে খানাকুলে এসে ত্রাণ দেবেন, তা আমরা কেউ জানতে পারিনি। জানানোও হয়নি। যে খাবার দেওয়া হয়েছে, তা খারাপ বলেই শুনেছি। আবার সাংসদ অপরূপা পোদ্দার যে এসে ত্রাণ বিলি করেছেন, তা-ও জানতে পারিনি।”

তবে, বিলি করা খাবারের খারাপ গুণগতমানের কথা ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা অস্বীকার করেছেন। প্রসঙ্গত, গত ৫ ই সেপ্টেম্বর এই খাবার প্রথম গ্রহণ করেছিলেন খানাকুল ১ ব্লক এর বিডিও দেবাশিস মন্ডল।তাদের পরীক্ষার পরেই এই খাবার গিয়েছিল খানকুল ২ ব্লক প্রশাসনের কাছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ” আমি নিজে এবং আরও ৫ আধিকারিক কৌটোর খাবার গরম করে খেয়ে দেখেছি। সুন্দর পাতলা খিচুড়ি। চাল-ডাল, আলু, আনাজ—সবই ছিল। কোনও গোলমাল ছিল না।” খানাকুল-২ ব্লকের বিডিও দেবল উপাধ্যায় বলেন, “ত্রাণের খাবারের মান নিয়ে আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি।”

খাবার বিলির এই অভিযোগ সম্পর্কে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” কারও একজনেরই অভিযোগ এটা। তাঁর লক্ষ্য আমি। কিন্তু আমি তো নিজের উদ্যোগে দিইনি। সরকারি ত্রাণ। গরম জলে ফুটিয়ে খেতে হয়। খাবার খারাপও নয়। আসলে আমি আরামবাগে ঢোকায় অনেকের অসুবিধা হচ্ছে।’’

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার জানিয়েছেন, ” আমারবাগে যে কেউ-ই আসতে পারেন। সমস্যা কোথায়? আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে সব সয়ই চেষ্টা করেছি, করবও। ’’ তৃণমূল দলের কিছু অংশের দাবি, অপরূপা পোদ্দারের অনুগামীরাই এই বিরোধিতা করছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!