এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্যোগের পরই ময়দানে বিধায়করা, কারা কারা বাড়িয়ে দিলেন সহযোগিতার হাত! জেনে নিন

দুর্যোগের পরই ময়দানে বিধায়করা, কারা কারা বাড়িয়ে দিলেন সহযোগিতার হাত! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   এক বছর আগে আমফানের স্মৃতি এখনও কাটেনি। কিন্তু তার মধ্যেই এক বছর কাটতে না কাটতেই বুধবার “ইয়াস” নামক ঘূর্ণিঝড় রাজ্যে আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। সেই মত করে কলকাতা সহ উপকূলবর্তী জেলায় বিধ্বস্ত অবস্থা তৈরি হয়। শহরের মধ্যে জল জমতে শুরু করে। নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষেরা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নেন সরকারের ক্যাম্পে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই যাতে এক বছর আগে আমফানের পর জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, তা যাতে আর এবারে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য সকলকে সচেতন করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি বিরোধী দলে বসা বিজেপির পক্ষ থেকেও তাদের বিধায়কদের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। আর ভয়াবহ দুর্যোগ আছড়ে পড়ার পরেই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে নিজের এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন জনপ্রতিনিধিরা। মনোজ তিওয়ারি থেকে শুরু করে অরূপ রায়, দেবাশীষ কুমার থেকে শুরু করে সোহম চক্রবর্তী, প্রত্যেককেই মানুষের পাশে থাকতে দেখা গেল। যা দেখে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত সাধারণ মানুষ।

সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা শহর সহ একাধিক জায়গায় দুর্যোগের পর জল জমতে শুরু করে। আর তারপরই এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে যান একের পর এক শাসকদলের বিধায়ক। যেখানে চন্ডিপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীকে হাটু জলে দাঁড়িয়ে নিজের বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করতে দেখা যায়। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে সাধারণ মানুষের কোথাও কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা, সেই দিকটি খেয়াল রাখেন শিবপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়কে তার বিধানসভা এলাকায় বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করতে দেখা যায়। দুর্যোগ প্রবণ এলাকাগুলিতে মানুষ যাতে কোনোভাবেই অসুবিধে না পড়েন, তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। এছাড়াও ময়দানে নামতে দেখা যায় দেবাশীষ কুমার থেকে শুরু করে শাসকদলের একগুচ্ছ বিধায়ক এবং নেতা মন্ত্রীদের। আর দুর্যোগ আছড়ে পড়ার সাথে সাথেই যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সচেষ্ট হতে দেখা গেল বিধায়ক মন্ত্রীদের, তাতে প্রবল খুশি সাধারণ মানুষ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে আম্ফান ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর সেভাবে জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাননি সাধারন মানুষ। যার ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের একাংশ দুর্যোগে পাশে না পাওয়ার কারণ দেখানোয় কিছুটা হলেও পালে হাওয়া পেয়েছিল বিরোধীরা। তবে এবার সেই তিক্ত স্মৃতিকে সাথে করে নিয়ে যাতে আর কোনো অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে না ওঠে, তার জন্য প্রথম থেকেই দলীয় স্তরে সমস্ত নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দুর্যোগের সময় রাজনীতি না দেখে মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। আর তার সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে দুর্যোগ প্রবণ এলাকা গুলোতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের। সব মিলিয়ে দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি হলেও, জনপ্রতিনিধিদের ভরসার হাত সন্তুষ্টি যোগাচ্ছে জনমানসে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!