এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্যোগের পরেই সেচ দপ্তরের কাছে ক্ষুব্ধ মমতা, রাজীব-শুভেন্দুকে জব্দ করতেই কি পরিকল্পনা? বাড়ছে গুঞ্জন!

দুর্যোগের পরেই সেচ দপ্তরের কাছে ক্ষুব্ধ মমতা, রাজীব-শুভেন্দুকে জব্দ করতেই কি পরিকল্পনা? বাড়ছে গুঞ্জন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  একসময় রাজ্যের সেচ দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন বর্তমান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বর্তমান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই দুই ব্যক্তি। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারা দুজনেই যোগদান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ গেরুয়া শিবিরে। তবে রাজ্য মন্ত্রীসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার পর তৃণমূল অত্যন্ত চাপে পড়বে বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সেভাবে কোনো ফ্যাক্টর তৈরি হয়নি। তবে ভয়াবহ দুর্যোগ “ইয়াস” আছড়ে পড়ার পর দীঘার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের অনেক বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেচ দপ্তরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রশ্ন তোলাতে রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনার কথা তুলে ধরে সেচ দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কেননা এই দুই ব্যক্তি এর আগে দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের সেচ দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃতীয় তৃণমূল সরকার আসার সাথে সাথেই আগে যে বাঁধগুলো তৈরি হয়েছিল, সেগুলো ভাঙতে শুরু করেছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্যোগে ভেঙে পড়া বাঁধগুলো নিয়ে বিজেপিতে যাওয়া এই দুই নেতার বিরুদ্ধেই আক্রমণ ছুড়ে দিলেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বস্তুত, বুধবার এরাজ্যে “ইয়াস” নামক ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে জলোচ্ছ্বাস ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। যার ফলে একাধিক জায়গার বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। আর এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেচ দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কয়েক বছর আগে তৈরি মেরিন ড্রাইভের অবস্থা কেন এত খারাপ হল? বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ে যদি এত পরিস্থিতি খারাপ হয়, তবে তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় এত পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে পাওয়া যাবে? টাকা কি জলে দেওয়া হবে, নাকি টাকা দিয়ে জল আটকাব? গোটা ঘটনার তদন্ত হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তদন্তের কথা বলে সেচ দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত অস্বস্তির মুখে ফেলে দিলেন। তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, এই দপ্তরের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা ঠিকমত কাজ করেননি। তাই বর্তমানে এই দুরবস্থা তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ নাম না করে হলেও বিজেপিতে যাওয়া দুই নেতা তথা রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী যে এর জন্য যথেষ্ট দায়ী, তা নিজের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান বলে দাবি করছেন একাংশ।

বলা বাহুল্য, “ইয়াস” নামক ঘূর্ণিঝড় রাজ্যে তেমনভাবে দাপট না দেখালেও, এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জল জমতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, নদী বাঁধগুলো একের পর এক ভেঙে যাওয়ার কারণে গ্রামে ব্যাপক পরিমাণে জল প্রবেশ করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ের জেরে যদি এইভাবে বাঁধ ভাঙতে শুরু করে, তাহলে সরকার কিভাবে তা মোকাবিলা করবে, সেই প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

যার জেরে রাজ্যের প্রাক্তন দুই সেচমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে এখন নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁধ ভাঙ্গার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নাম না করে রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমান বিজেপি নেতার শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!